
Fatty Liver: আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার বা যকৃত। এটি রক্ত পরিষ্কার করা, হজমে সাহায্য করা, দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তি সংরক্ষণসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই লিভারের সুস্থতা মানেই শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা।
অনিয়মিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, ভাজাভুজি খাওয়া, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং মানসিক চাপের কারণে লিভার খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু জানেন কি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু নির্দিষ্ট ফল নিয়মিত খেলে লিভার অনেকটাই সুস্থ রাখা যায়?
লিভার আমাদের শরীরে ৫০০-র বেশি কাজ করে। এর প্রধান কাজগুলো হলো:
* খাবার থেকে পুষ্টি শোষণ করে রক্তে ছড়িয়ে দেওয়া * রক্তে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেওয়া * শরীরে গ্লুকোজ মজুত রাখা ও প্রয়োজনে সরবরাহ করা * চর্বি হজমে সাহায্যকারী বাইল জুস তৈরি করা। * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
* কেন ফল খাওয়া জরুরি? ফলে থাকা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার লিভারকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। বিশেষ কিছু ফল আছে যেগুলোর মধ্যে এমন উপাদান থাকে যা লিভারের কোষ পুনর্গঠন করে এবং প্রদাহ কমায়।
* আঙুরে লুকিয়ে আছে লিভার সুরক্ষার মিষ্টি উপায়। চোখ জুড়ানো রঙ আর মিষ্টি স্বাদের আঙুর শুধু উপভোগ্যই নয়, লিভার সুস্থ রাখার জন্যও এক দুর্দান্ত ফল। বিশেষ করে কালো আঙুরে থাকে রেসভেরাট্রল নামে এক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় এবং তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আঙুর খেলে লিভারের প্রদাহ কমে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াও সক্রিয় থাকে।
* লেবু ও কমলা শুধু রুচির জন্য নয়, লিভারের যত্নেও একেবারে নির্ভরযোগ্য। এই ফলদ্বয়ে রয়েছে ভিটামিন C ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।ভিটামিন C লিভারের এনজাইম অ্যাক্টিভ করে, যার ফলে ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে সহজেই বের হয়ে যায়।
তবে অতিমাত্রায় ফল খাওয়াটাও ঠিক নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্রুকটোজ় দেহে প্রবেশ করলে ব্যক্তি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে করোনারি আর্টারিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ফল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
* তাহলে কখন ফল খাওয়া উচিত: এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা নিয়মিত ফল খান। এমনকি দৈনন্দিন ডায়েটে তাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় ফল খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনের মধ্যে একবার ফল খাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাতরাশে ফল খাওয়ার উপকার বেশি। নিয়মিত অতিরিক্ত ফল না খেয়ে ঋতুকালীন ফল অল্প পরিমাণে খেলে সমস্যা তৈরি হবে না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।