Diet Tips: ওজন কমানোর জন্য দিনে কতবার খাবেন? জেনে নিন পুষ্টিবিদদের পরামর্শ

Published : Jun 03, 2025, 09:47 PM IST
Diet Tips: ওজন কমানোর জন্য দিনে কতবার খাবেন? জেনে নিন পুষ্টিবিদদের পরামর্শ

সংক্ষিপ্ত

How Many Meals A Day For Weight Loss: ওজন কমাতে চাইলে অনেকেই নানা ধরনের ডায়েট মেনে চলেন। কিন্তু কোনটা সঠিক পদ্ধতি তা অনেকেরই জানা নেই। দিনে কতবার খাবার খেলে ওজন দ্রুত কমানো যায় তা জেনে নিন।

How Many Meals A Day For Weight Loss: ওজন কমানো অনেকেরই লক্ষ্য। তাই "দিনে কতবার খাবার খাওয়া উচিত?" এই প্রশ্নটা সবার মনেই আসে। এই প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর না থাকলেও, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যক্তিগত জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

প্রচলিত তিনবেলা খাবার:

প্রচলিতভাবে, সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার -- এভাবে দিনে তিনবার খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এই পদ্ধতিতে, প্রতিবার পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেয়ে পরবর্তী খাবার পর্যন্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এটি অনেকের কাছেই সহজ এবং অভ্যস্ত পদ্ধতি।

সুবিধা:

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতি হওয়ায় এটি অধিকাংশ মানুষের কাছেই অভ্যস্ত এবং পরিকল্পনা করা সহজ। প্রতিবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে পরবর্তী খাবার পর্যন্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। খাবারের মাঝে পর্যাপ্ত বিরতি থাকায়, হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে?

প্রতিবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়িয়ে চলা জরুরি। সকালের নাস্তা কখনোই বাদ দেওয়া উচিত নয়। এটি বিপাকক্রিয়া সচল রাখতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আঁশযুক্ত খাবার রাখা উচিত। রাতের খাবার ঘুমানোর ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া ভালো।

ছোট ছোট, ঘন ঘন খাবার:

কিছু বিশেষজ্ঞ দিনে ৫ থেকে ৬ বার ছোট ছোট খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ওজন কমানোর জন্য। এই পদ্ধতিতে, খাবারের মাঝে বিরতি কম থাকায় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এছাড়াও, এটি বিপাকক্রিয়া সচল রাখতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।

সুবিধা:

খাবারের মাঝে দীর্ঘ বিরতি না থাকায় তীব্র ক্ষুধা অনুভূতি দূর হয়। ছোট ছোট করে ঘন ঘন খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, দিনব্যাপী স্থিতিশীল শক্তি সরবরাহ করে।

ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে?

খাবারে সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকা উচিত। "স্ন্যাক্স" নামে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। মোট ক্যালোরি গ্রহণ দৈনিক লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখতে হবে।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং:

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কোন ডায়েট নয়, বরং একটি খাদ্যাভ্যাস। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাবার না খেয়ে, বাকি সময়টাতে খাবার খাওয়া। এটি ওজন কমাতে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

দিনে ১৬ ঘণ্টা উপবাস এবং বাকি ৮ ঘণ্টার মধ্যে সব খাবার খাওয়া। সপ্তাহে ৫ দিন স্বাভাবিকভাবে খাওয়া এবং ২ দিন ক্যালোরি (প্রায় ৫০০-৬০০ ক্যালোরি) সীমিত রাখা। সপ্তাহে একবার বা দুবার ২৪ ঘণ্টা খাবার থেকে বিরত থাকা।

সুবিধা:

উপবাসের সময় ক্যালোরি গ্রহণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

উপবাসের সময় কোষের মেরামতের "অটোফ্যাজি" (Autophagy) প্রক্রিয়া উদ্দীপিত হয়।

এই পদ্ধতি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগী, গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, এবং বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কোন পদ্ধতি সর্বোত্তম?

আপনার জীবনযাত্রা:

কর্ম ঘণ্টা, ব্যায়াম, দৈনন্দিন কার্যকলাপ আপনাকে কতবার খাবার খাওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। কারও কারও দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা সহ্য করার ক্ষমতা থাকে, কারও কারও তাড়াতাড়ি ক্ষুধা লাগে। আপনার ক্ষুধার অনুভূতি অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস নির্বাচন করুন। জোর করে ক্ষুধার্ত থাকা অস্বাস্থ্যকর।

পুষ্টিকর খাবার:

কতবার খাচ্ছেন তা না হলেও, আপনি কী খাচ্ছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর, সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

ব্যায়াম:

যে খাদ্যাভ্যাসই অনুসরণ করুন না কেন, নিয়মিত ব্যায়াম ওজন কমানোর জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র ব্যায়াম করুন।

জল পান করা:

পর্যাপ্ত জল পান ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার জল পান করুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ:

ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, পিসিওএস জাতীয় কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে, পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তারা আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক খাদ্যাভ্যাস নির্ধারণ করে দেবেন। শুধুমাত্র অনলাইন তথ্যের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী