
নিয়মিত শরীরচর্চা করেও ওজন না কমার বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে, যেমন - অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ, ভুল ধরনের ব্যায়াম (যেমন শুধু কার্ডিও), অপর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ, পেশী বৃদ্ধির কারণে ওজন না কমা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এবং মানসিক চাপ। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
সাধারণ ভুলগুলো যা আমরা করে থাকি :
* খাদ্যাভ্যাস: শরীরচর্চা করার পরেও অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করলে ওজন কমে না। চিনিযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
* ব্যায়ামের ধরন: শুধুমাত্র কার্ডিওতে মনোযোগ দিলে পেশী বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, যা মেটাবলিজম ধীর করে দেয়। তাই কার্ডিও এবং শক্তি প্রশিক্ষণের (strength training) একটি ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত।
* প্রোটিনের অভাব: পেশী পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের ঘাটতি হলে পেশী ঘনত্ব কমতে পারে, যা ওজন কমাতে বাধা দেয়।
* পেশী বৃদ্ধি: ওজন কমানোর শুরুতে পেশী তৈরি হলে, স্কেলে ওজন কম নাও দেখা যেতে পারে। কারণ, পেশী চর্বির চেয়ে ঘন এবং শরীরে কম জায়গা নেয়।
* অপর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
* শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব: আপনার প্রতিদিনের কার্যকলাপের মধ্যে পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন, যদি আপনি বাড়ি থেকে কাজ করেন, তাহলে অফিসের তুলনায় কম হাঁটাচলার সুযোগ থাকে।
* সমাধানের উপায়: সুষম খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রচুর ফল, সবজি এবং গোটা শস্য (whole grains) খান।
পর্যাপ্ত প্রোটিন: শরীরচর্চার পর পেশী পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত জল পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন, বিশেষ করে শরীরচর্চার সময় এবং পরে।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মানসিক চাপ কমাতে যোগা বা মেডিটেশন করতে পারেন।
ব্যায়ামের রুটিনে পরিবর্তন: একই ধরনের ব্যায়াম না করে, আপনার রুটিনে পরিবর্তন আনুন। কার্ডিও এবং শক্তি প্রশিক্ষণের একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিকল্পনা তৈরি করুন।