কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায় খাদ্যতালিকায় সেসব জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি যা কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর।
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায় খাদ্যতালিকায় সেসব জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি যা কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর।
প্রতিদিন বাইরের খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু খাবার কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর। এই খাবার । খারাপ কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিযুক্ত পদার্থ। এই রক্ত ধমনীতে জমে যা রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত পৌঁছাতে অসুবিধা হয়।
এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা এমনকি হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। এমন অবস্থায় খাবারের দিকে খেয়াল রাখলে উচ্চ কোলেস্টেরল কমতে শুরু করে। এখানে আমরা এমন কিছু খাবারের কথা বলছি যা কোলেস্টেরল কমায়।
রসুন অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ সমৃদ্ধ। এটি শুধুমাত্র শরীরের নোংরা কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল কমায় না, ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল বাড়াতেও কার্যকর। কাঁচা রসুনের অর্ধেক থেকে এক কোয়া প্রতিদিন খাওয়া হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়। রসুনেও রয়েছে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ধনে ব্যবহার করা হয়। ধনে বীজে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং বিশেষ করে ভিটামিন সি। এমন পরিস্থিতিতে ধনে বীজ খেলে উচ্চ কোলেস্টেরল কমানো যায়।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ মেথি বীজ অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের একটি ভাল উৎস। মেথি বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। নোংরা কোলেস্টেরল কমাতে ফাইবার গ্রহণ কার্যকর। সেবনের জন্য আধা থেকে এক চামচ মেথি বীজ নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করলে কোলেস্টেরল কমাতে উপকারী।
আমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমলা ঔষধি গুণের একটি ভালো উৎস এবং এতে অ্যামিনো অ্যাসিড ও খনিজ উপাদানও রয়েছে। প্রতিদিন সীমিত ও সঠিক পরিমাণে আমলা খেলে কোলেস্টেরল কমে। এক থেকে দুই চা চামচ আমলার রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করলে উচ্চ কোলেস্টেরল কমে।