হলুদ -গোলমরিচের যুগলবন্দী, ম্যাজিকের মতো কাজ করে শরীরে, জেনে নিন কীভাবে মিলবে উপকার

Published : Mar 21, 2025, 08:46 AM IST
What food is entering the healthy gut

সংক্ষিপ্ত

রান্নাঘরের পরিচিত হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ব্যথা-বেদনা কমে। গোলমরিচের পাইপারিন হলুদের কিউকারমিনকে শরীরে শোষণ করতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

ডায়েটে সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ, কেউ আবার চোট পেয়ে উষ্ণ গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাচ্ছেন। হলুদ আসনে নিজেই একটি সুপার ফুড। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থেকে শুরু করে প্রদাহনাশক উপাদান, অ্যান্টি-সেপ্টিক, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান মজুত রয়েছে, যা শরীরকে নানারকম সংক্রমণের হাত থেকে নিরাপদ রেখে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য। করে। কিন্তু জানেন কি হলুদের সঙ্গে গোল মরিচ খেলে, তাতে আরও বেশি উপকার।

গোলমরিচে রয়েছে ভিটামিন ও শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, উচ্চমাত্রায় ফাইবার, সামান্য প্রোটিন এবং শর্করাও। আরও আছে পাইপারিন নামের একটি উপাদান। এতো হলুদের থাকা উপকারী কিউকারমিনকে শরীরে শোষণ করতে সাহায্য করে, শোষণের ক্ষমতা প্রায় ২০০০ গুণ বাড়িয়ে দেয়। কারকিউমিনের সবটুকু রক্তে মেশে না, অধিকাংশই অত্যন্ত দ্রুত লিভার এবং অন্ত্রে বিপাক হয়ে যায়। খুব অল্পাংশেই রক্তে পৌঁছয়। তাই হলুদের সাথে গোলমরিচের যুগলবন্দী আপনার শরীরে ম্যাজিকের কোমর কাজ করবে।

কী কী উপকার পাবেন?

১. শরীরের ব্যাথা-বেদনা সারাতে হলুদের জুড়ি নেই। যে কারণে আগেকার দিনে কোনও ব্যাথা হলে সেখানে হলুদ লাগাতে বলতেন ঠাকুমা-দিদিমারা। শরীরকে ভেতর থেকে সারিয়ে তোলে হলুদ। তার সঙ্গে গোলমরিচ যুক্ত করলে আরও তাড়াতাড়ি কাজ দেবে। গোলমরিচের মধ্যে থাকা পাইপারিন কোষকে আরও অ্যাক্টিভ করে তোলে। দীর্ঘদিনের ব্যাথা বা নার্ভ সংক্রান্ত যন্ত্রণাও সারিয়ে দেয় এই দুই মশলা।

২. আয়ুর্বেদে আর্থারাইটিসের যন্ত্রণা কমাতে হলুদের ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। রান্নায় নিয়মিত হলুদ ও গোলমরিচ ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেনই।

৩. দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে তা শিরা-উপশিরাকে খতিগ্রস্ত করে। হলুদ ও গোলমরিচের মধ্যে থাকা কারকিউমিন এবং পাইপারিন শিরা-উপশিরার ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. রোজ রান্নায় হলুদ ও গোলমরিচ রাখুন। এই দুটি একসঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সাহায্য করে। বিপকক্রিয়ার হার বাড়াতে রোজ সকালে খালি পেটে হলুদ, গোলমরিচ এবং আদাবাটা গরম জলে মিশিয়ে খেতে পারেন।

৫. হলুদ ও গোলমরিচের একসঙ্গে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আছে। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে হলুদের ভূমিকা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত এই কারণেই পশ্চিমী দেশগুলোর তুলনায় ভারতে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা কম।

PREV
click me!

Recommended Stories

শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়
৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস