Symptoms of Heat Stroke: বাড়ির সারমেয়টি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা কীভাবে করবেন? জানুন বিস্তারিত

Published : May 14, 2025, 11:22 PM IST
Heat Stroke

সংক্ষিপ্ত

গ্রীষ্মের তাপদাহে পোষ্যরাও হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, ঝিমানো, খাওয়ার অনীহা, খিঁচুনি, বমি, মেজাজ খারাপ হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি শুধু মানুষেরই নয়, মূর্ছা যায় বাড়ির পোষ্যরাও। আজকাল অধিকাংশের বাড়িতেই কুকুর পোষেন। তাই এই গ্রীষ্মের তাপদাহে হঠাৎ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, পোষ্যকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই প্রাথমিক চিকিৎসা দরকার বাড়িতেই। এছাড়াও হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে থেকেই লক্ষণ প্রকাশ পেটে থাকে কুকুরদের মধ্যে। তাদের কষ্ট তারা মুখে বলে প্রকাশ করতে পারে না বলেই তাদের সম্পূর্ণ সুস্থ ও যত্নে রাখার দায়িত্ব আপনারই। তাই পশুর মধ্যে লক্ষণ ফুটে উঠলে, হিট স্ট্রোক হলে কী করনীয় তা জেনে রাখা উচিত।

আপনার পোষ্যর গায়ে লোম এর আধিক্য, তাই তাদের গরমও বেশি। যত্ন রাখতে শুধু AC ঘরে রাখলেই যে তারা সুস্থ থাকবে তেমনটি নয়। পশুরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিট স্ট্রোক থেকে চর্মরোগ— নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগে পোষা কুকুরেরা। তাই সঠিক সময়ে লক্ষণগুলি চিনে তাদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াও জরুরি।

পোষ্যর হিট স্ট্রেস হলে কী করে বুঝবেন?

বাড়ে পোষা কুকুরদের শরীরে গরমে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ হয়। কুকুর জল কম খেলে, বেশিক্ষণ রোদে থাকলে শরীরের ভিতরে প্রদাহ শুরু হয়। এতে শ্বাসকষ্ট হবে, পোষ্য ঝিমিয়ে পড়বে, খেতে চাইবে না। এসব লক্ষণ হিট স্ট্রেসের কারণে হয়। সত্ত্বর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

হিট স্ট্রোক

তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছলে পোষ্যকে আছে রুম বা ঠান্ডা ঘর যেখানে রোদ কম আসে সেখানে রাখবেন। বার বার জল খাওয়াতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ।

পোষ্যর মধ্যে হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলি কী কী?

১) বাইরে থেকে এলে বা প্রচন্ড গরমে হঠাৎ কুকুরের শ্বাসের গতি অনেক বেড়ে যায়, হৃদযন্ত্রের গতিও বেড়ে যায়। জিভ ও নাক শুকিয়ে গেলে ঝুঁকির আশঙ্কা বেশি।

 

২) এর সাথে শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফাহরেনহাইন পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। খিঁচুনি দেবে।

৩) জল শূন্যতার কারণে মূত্রের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যাওয়া।

৪) বমি বমি ভাব অথবা বমি হবে, মাড়ি ফুলে যাবে।

৫) মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়ে হঠাৎ করে চিৎকার করে ওঠা, পরম মুহূর্তেই আবার ঝিমিয়ে পড়া।

এবার জেনে নেব এই সমস্ত লক্ষণগুলি কোন কোন ক্ষেত্রে পোষ্যর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

১) কুকুরের বয়স বেশি হলে

২) ওজন অত্যন্ত বেশি হয়ে গেলে

৩) ফুসফুস বা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা থাকলে

৪) থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ কোনও কারণে বেড়ে গেলে

৫) নাক চাপা প্রজাতির কুকুরের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেশি হয়

৬) জল কম খেলেও এর আশঙ্কা বাড়তে পারে

গরমে চর্মরোগ

সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা, র‌্যাশ, চুলকানি, ফোস্কা পড়তে পারে ত্বকে। এমন হলে নিজেরা ভুল ওষুধ না খাইয়ে চিকিৎসকের কাছে যান।

কীভাবে খেয়াল নেবেন পোষ্যের?

১) গরমের দিনে পোষ্যকে ভাল করে স্নান করাতে হবে নিয়মিত। প্রয়োজনে রোজ স্নান করানো যেতে পারে।

২) গরমকালে পোষ্যের খাওয়া দাওয়ার উপর বাড়তি নজর দিন। রসালো ফল যেমন তরমুজ, আপেল এসব খাওয়ান। তবে পোষ্যের প্রজাতি ও ওজন দেখেই তার ডায়েট ঠিক করতে হবে, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩) প্যাকেজ্ড খাবার দেবেন না। চকোলেট, মিষ্টি জাতীয় কিছু, তেল-ঘি তে ভাজা কিছুও দেবেন না। আপনি নিজে খেতে বসে পোষ্যকে নিজের পাট থেকে তুলে খাওয়াবেন না। মাছ বা চিকেন, সবজি, ভাত সবই নুন ছাড়া হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে তবেই দেবেন।

৪) দিনের বেলা বাইরে প্রচণ্ড রোদ। তাই ঘোরাতে হলে দুপুর গড়ালে বেরোবেন। দরকারে বাড়িতেই অল্প খেলাধুলো বা দৌঁড়াতে দিন উঠোন বা ছাদে।

PREV
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী