
Hypertension Remedy: 'ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনসন ডে'(World Hypertension Day)। প্রতি বছর ১৭ মে বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবস পালন করা হয়। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের হাইপারটেনশন সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিশেষ এই দিনটি পালন করা হয়। কারণ, এই হাইপারটেনশন হল সাইলেন্ট কিলার(Silent Killer) যা নিশব্দে যেকোনও মানুষের শরীরে থাবা বসাতে। যারফলে আচমকা ঘটতে পারে বড় কোনও বিপদ। শুধু তাই নয়, সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন না করে এই রোগের যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে।
শুধু তাই নয়, এই উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা সারাবিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ মানুষকে প্রভাবিত করে। যা বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই রোগের শিকার। তবে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে সেভাবে কিছু না বলা গেলেও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো জটিল প্রাণঘাতী অসুখের পিছনে দায়ী এই হাইপারটেনশন। যাকে নিঃশব্দে সাইলেন্ট কিলারও বলা যেতে পারে।
জানা গিয়েছে, এই রোগের বিরুদ্ধে সাবধানতা গড়ে তুলতে ২০০৫ সালের ১৪ মে প্রথম এই হাইপারটেনশন দিবস পালন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ২০০৬ সালে ১৪ মে'র পরিবর্তে ১৭ মে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয় সারা পৃথিবীতে(World Hypertension Day)। অন্যদিকে হাইপারটেনশন বলতে আমরা সাধারণত বুঝে বা না বুঝেই উচ্চরক্তচাপ বলে থাকি। কিন্তু এই উচ্চ রক্তচাপ বিষয়টি কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ হল, শরীরে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে যাওয়া। অর্থাৎ হৃৎপিন্ডের রক্তপ্রবাহ নালী বা ধমনীর উপর যখন অতিরিক্ত মাত্রায় রক্ত প্রবাহের চাপ পড়ে তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে। তবে এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও লক্ষণ না থাকলেও কয়েকটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে আপনি এই রোগে আক্রান্ত।
তাহলে আসুন জেনে নিই এই হাইপারটেনশনের মূল লক্ষণ গুলি কী কী...
১. শরীর দুর্বল ভাব
২. অসহ্য মাথা যন্ত্রণা
৩. চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
৪. ক্লান্তি ভাব, অবসন্ন হয়ে পড়া।
যদিও ঘরে বসেই এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তারজন্য জরুরি সুষম খাদ্যাভাস। তাজা শাকসবজি ফলমূল ও প্রচুর জলপান। সঙ্গে হালকা ধরনের নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা। যা শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, যেকোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুস্থ থাকার একমাত্র চাবিকাঠি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।