শরীরের এই উপসর্গগুলিই বলে দেবে আপনি অ্যামিবা সংক্রমণের শিকার কীনা, জানুন এক ঝলকে

Published : Sep 21, 2025, 12:27 PM IST

Amoeba Virus Treatment: অ্যামিবা ভাইরাসে তটস্থ কেরলবাসী। মারণ এই ব্যাধির আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অ্যামিবা সংক্রমণের আশঙ্কায় ভীত পশ্চিমবঙ্গও। কীভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচবেন? জানুন বিশদে… 

PREV
15
অ্যামিবা ভাইরাস সংক্রমণ

অ্যামিবা ভাইরাস সংক্রমণ মানব দেহের সরাসরি মস্তিস্কে আঘাত হানছে মগজখেকো এই ভাইরাস হল উষ্ণ জলে বেঁচে থাকা মুক্তজীবী জীবাণু। যারা সুযোগ পেলেই মানুষের মস্তিস্কে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দেয়। 

25
প্রথম কবে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৬৫ সালে প্রথমবার এই রোগের কথা জানিয়েছিলেন Fowler এবং Cartler।  এরপর থেকে বিশ্বে প্রায় এইরকম ৫০০টি কেস রিপোর্ট হয়েছে। ভারতে এর সংক্রমণ কম থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়েছে অ্যামিবা সংক্রমণের হার। করোনা সংক্রমণের পর এই হার বাড়ছে। শ্বাসনালী বা মিউকোজাল ইমিউনো সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ায় এই সমস্যা গুরুতর আকার নিচ্ছে। 

35
অ্যামিবা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ

চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস যদি আপনার শরীরে হানা দেয় তাহলে কীভাবে বুঝবেন? রোগীর তীব্র মাথা ব্যথা, উচ্চ জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, স্নায়বিক সমস্যা। এইক্ষেত্রে রোগী অচেতনও হয়ে যেতে পারে। এবং এই সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি। 

45
চিকিৎসা পদ্ধতি

এই অ্যামিবা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় সাধারণত তিনটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। রিফ্যাম্পিসিন,  ফ্লুকানোজোল, ট্রাইমেথোপ্রিম। চিকিৎসকদের মতে এই তিন ওষুধ রোগ সারাতে দারুণ ভাবে কাজ করে। প্রায় ৯০ শতাংশ রোগী সেরে উঠেছেন বলে দাবি ডাক্তারবাবুদের। ফলে দ্রুত রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 

55
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

১. প্রতিদিন ক্লোরিন দিয়ে সুইমিংপুল পরিস্কার করা। 

২. গরমকালে পুকুর বা নদীর জলে অযথা স্নান বা ডুব দেওয়া থেকে বিরত থাকা। 

৩. জলে নামলে নাকে যাতে জল না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখা। 

৪. শিশুদের এমন জলে স্নান থেকে বিরত রাখা।

এবং কোনও রকম উপসর্গ দেখলেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories