টরন্টোর ডাল্লা লানা স্কুল অফ পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রভাত ঝা, এই সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে বলেছেন, 'ধূমপান ত্যাগ করা মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।'
যারা ৪০ বছর বয়সে ধূমপান ছেড়ে দিতে পারেন তারা যারা জীবনে কোনও দিন ধূমপান করেননি তাদের মতই আয়ু পান বা বেঁচে থাকতে পারেন। সম্প্রতি একটি গবেষণা রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে। পাসাপাশি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সুবিধেগুলির ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। NEJM এভিডেন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তিরা যে কোনও বয়সে ধূমপান ত্যাগ করেন তারা ধূমপান ছাড়ার ১০ বছরের মধ্যে ধূমপায়ীদের বেঁচে থাকার হারের কাছে যেতে শুরু করেন। ধূমপান ছাড়লে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই স্বাস্থ্যের অনেকটা উন্নতি হয়। অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়।
টরন্টোর ডাল্লা লানা স্কুল অফ পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রভাত ঝা, এই সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে বলেছেন, 'ধূমপান ত্যাগ করা মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, নরওয়ের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ৪০-৭৯ বছর বয়সীদের মধ্যে তুলনার পাশাপাশি ধূমপায়ী ও অ-ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যের তুলনাও সেখানে করা হয়েছে। দেখা গেছে ধূমপায়ীদের মৃত্যুর হার প্রায় তিন গুণ বেশি। ধূমপায়ীরা ১২-১৩ বছর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছে তারা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১.৩ গুণ কমিয়ে ফেলতে পেরেছে ধূমপায়ীদের তুলনায়। যারা তিন বছরের কম সময়ে ধূমপান ছেড়েছেন তাদের আয়ু প্রায় ৬ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষণায় ভাস্কুলার ডিজিজ এবং ক্যান্সার থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ধূমপান বন্ধের ইতিবাচক প্রভাবও তুলে ধরা হয়েছে, শ্বাসযন্ত্রের রোগের জন্য সামান্য কম প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে, সম্ভবত অবশিষ্ট ফুসফুসের ক্ষতির কারণে।