মরণ রোগকে দ্রুত বধ করতে রেডিওথেরাপি বেস্ট, দাবি অনকোলজিস্টদের, জেনে নিন বিস্তারিত

Published : Oct 15, 2025, 02:37 PM IST
Genetic tweaks make natural killer cells stronger against cancer

সংক্ষিপ্ত

ক্যান্সার রোগের জন্য রেডিওথেরাপি এখন বেস্ট বলছেন অনকোলজিস্টরা।

রেডিওথেরাপি ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে এবং টিউমারকে সংকুচিত করতে উচ্চ-শক্তির বিকিরণ ব্যবহার করা হয়। যা ক্যান্সার চিকিৎসার একটি প্রধান পদ্ধতি।

যখন একজন অনকোলজিস্ট (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ) বলেন যে রেডিওথেরাপি দ্রুত কাজ করছে, তার মানে হলো এটি চিকিৎসার প্রথম দিকেই ক্যান্সার কোষের উপর কার্যকরভাবে কাজ করছে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাধা দিচ্ছে বা সংকুচিত করছে। এই দ্রুততার কারণ হতে পারে টিউমারের ধরন, এর আকার, এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য, যার ওপর নির্ভর করে একজন অনকোলজিস্ট রেডিওথেরাপির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করেন।

রেডিওথেরাপির মূল নীতি:

* লক্ষ্য: রেডিওথেরাপি উচ্চ-শক্তির বিকিরণ, যেমন এক্স-রে বা প্রোটন কণা ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষের ডিএনএ-কে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং তাদের বিভাজন ও বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

* কার্যকারিতা: এটি সরাসরি ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে বা তাদের সংখ্যা কমিয়ে দেয়, যার ফলে টিউমারের আকার ছোট হতে শুরু করে এবং ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কমতে থাকে।

* অতিরিক্ত চিকিৎসা: রেডিওথেরাপি প্রায়শই কেমোথেরাপি বা সার্জারির মতো অন্যান্য চিকিৎসার সাথে মিলিতভাবে ব্যবহার করা হয়, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

রেডিওথেরাপির দ্রুত কার্যকারিতা:

* ক্যান্সারের ধরন: কিছু ক্যান্সার, যেমন কিছু নির্দিষ্ট ধরনের স্তন বা ফুসফুসের ক্যান্সার, রেডিওথেরাপির প্রতি দ্রুত সাড়া দিতে পারে। এটি টিউমার কোষের দ্রুত বিভাজন ও বৃদ্ধির প্রকৃতির কারণে হয়।

* বিকিরণের মাত্রা ও ডোজ: বিকিরণের মাত্রা এবং ডোজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে এটি কার্যকরভাবে ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে পারে, যার ফলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। একজন অনকোলজিস্ট রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থার উপর ভিত্তি করে এটি নির্ধারণ করেন।

* শারীরিক প্রতিক্রিয়া: রেডিওথেরাপির পর শারীরিক লক্ষণ, যেমন ব্যথা বা ফোলাভাব, দ্রুত কমতে পারে। এটি একটি ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

রেডিওথেরাপি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

* পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: রেডিওথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন ক্লান্তি, ত্বকের সমস্যা বা চুল পড়া, যা বিকিরণের লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে।

* চিকিৎসা দলের সাথে যোগাযোগ: চিকিৎসা চলাকালীন কোনো অস্বস্তি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত আপনার চিকিৎসক বা নার্সকে জানান। তারা প্রয়োজনে চিকিৎসা পরিবর্তন করতে পারেন।

* ধৈর্য এবং বিশ্বাস: রেডিওথেরাপি একটি সময়সাপেক্ষ চিকিৎসা হতে পারে। দ্রুত ইতিবাচক ফলাফল পেলেও, সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন।

* রেডিওথেরাপি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে এবং আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে একজন অনকোলজিস্টের সাথে কথা বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ঘুমের শান্তি হারাচ্ছেন অ্যালার্মে? আওয়াজে ঘুম ভাঙায় বাড়ছে স্ট্রেস ও হৃদরোগের সম্ভাবনা
হলিডে ডিপ্রেশন কী? কীভাবে বুঝবেন আপনি এতে আক্রান্ত! জেনে নিন বাঁচার ৭টি সহজ উপায়