
পোশাক পরিচ্ছদে নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে 'presentable' তৈরী করার পাশাপাশি দরকার হয় oral hygiene -এরও খেয়াল রাখা। হলুদ দাঁত, দাঁতের গোড়ায় প্লাক লেগে থাকলে বিশেষ অফিস মিটিং, ডেটে যাওয়া, অনুষ্ঠান-নিমন্ত্রণ যাওয়ার সময় আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মুখগহ্বরের। প্লাক জমে দীর্ঘ সময়ে শক্ত হয়ে দাঁতের উপর পাথরের মতো প্রলেপ তৈরি করে, যাকে টার্টার বা ক্যালকুলাস বলে। একে উপেক্ষা করলে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ এমনকি দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এই সমস্যা প্রতিরোধে সবসময় যে দামি চিকিৎসা প্রয়োজন পড়ে তা নয়। সাদা তিল এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান, যা এই হতে পারে সমস্যার কার্যকর ও সহজ সমাধান।
টার্টার বা ক্যালকুলাস কীভাবে তৈরি হয়?
মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া, খাদ্য কণা ও থুতুর প্রোটিন একত্র হয়ে তৈরি করে প্লাক। এই প্লাক যদি নিয়মিতভাবে পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে তা খনিজ পদার্থের সংস্পর্শে এসে স্তরের উপর স্তর পড়ে শক্ত হয়ে ওঠে এবং দাঁতের উপরে হলুদ বা বাদামি স্তর সৃষ্টি করে। এটিই পরিচিত টার্টার বা ক্যালকুলাস নামে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১। এক মুঠো সাদা তিল নিয়ে কয়েক মিনিট ধরে চিবিয়ে ফেলে দিন। এই উপায়ে দাঁত হবে ঝকঝকে পরিষ্কার এবং প্লাক ও ব্যাকটেরিয়াও দূর হবে।
২। সাদা তিল রুটি বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। দাঁত ও মাড়ি মজবুত হবে।
৩। তিল তেল দিয়ে মুখ কুলকুচি করলেও উপকার পাওয়া যায়।
৪। দাঁত ব্যথা করলে হিং বা কালোজিরে পিষে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে তা গরম করে কুলকুচি করত পারেন, আরাম মিলবে।
দাঁতের জন্য কতটা উপকারী সাদা তিল?
সাদা তিলে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে, যা মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যর জন্য ভালো।
* দাঁত মজবুত করে: সাদা তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে যা দাঁত, মাড়ি, ও চোয়ালের হাড়কে মজবুত করে।
* দাঁতের এনামেল রক্ষা করে : সাদা তিল দাঁতের এনামেল তৈরিতে সাহায্য করে এবং দাঁত ক্ষয় হওয়া রোধ করে।
* প্লাক ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে : মুখের ভেতরে প্লাক এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে সাদা তিল।