
এবার ডায়েটের কথা বললে সবার আগে মানুষ বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসা দামি দামি শাকসবজি অথবা ফলের কথা মনে করেন। কিন্তু এই বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, হরেক রকমের দামি খাবার খেলে পরেই যে ওজন হাতের মুঠোয় থাকবে আপনার তা নয়। এমন অনেক খাবার রয়েছে যার দাম সামান্য হলেও আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। আজকের প্রতিবেদনেই ঠিক সেই সমস্ত কিছু খাবারের কথা জানানো হল।
সস্তা খাবার থেকেও প্রোটিন ও শক্তি পাওয়া সম্ভব। পুষ্টিবিদদের মতে এর জন্য ডিম, ডাল, মটরশুঁটি, ছোলা, এবং বিভিন্ন শস্য ও বীজ-জাতীয় খাবারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই খাবারগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। সাশ্রয়ী প্রোটিন ও শক্তির উৎস
* ডাল ও মটরশুঁটি: ডাল, মটরশুঁটি, ও ছোলা প্রোটিনের খুব ভালো এবং সাশ্রয়ী উৎস। এগুলি অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে এবং কার্বোহাইড্রেটের সাথে মিশে একটি সম্পূর্ণ প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে।
* ডিম: ডিম প্রোটিন এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এটি একটি সস্তা এবং সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস।
* শস্য ও বীজ: শস্য, যেমন বাদাম, এবং বিভিন্ন বীজ যেমন সূর্যমুখী, কুমড়োর বীজ প্রোটিন ও শক্তির ভালো উৎস।
* দই: বিশেষত গ্রীক দই প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি12, ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি সরবরাহ করে।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ:
১)ভাত বা রুটি: আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ভাত বা রুটি থাকে। এটি বাদ দেওয়া মুশকিল। তবে অনেকে ডায়েট করা মানে ভাত অথবা রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে পরিমিত মাত্রায় ভাত , রুটি খেলে পরে আপনার ওজন হাতের মুঠোয় থাকবে। আর যারা নিরামিষ খান তারা ভাত রুটির সঙ্গে পরিমিত্ত মাত্রায় দান অবশ্যই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখবেন ।
২) সুষম খাদ্য: পুষ্টিবিদরা প্রায়শই বিভিন্ন উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণের উপর জোর দেন, যেমন উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত পণ্য।
৩)পর্যাপ্ত প্রোটিন: শরীরের টিস্যুর গঠন ও জ্বালানীর জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিহীন মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, ডাল, এবং প্রোটিন সম্পূরক গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৪)সম্পূরক গ্রহণের উপর নজর: প্রোটিন সম্পূরকগুলি অতিরিক্ত গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এর নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫)প্রচুর পরিমাণে জল: প্রচুর পরিমাণে জল পান করা, বিশেষ করে ব্যায়ামের পরে, শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৬)ডাক্তারের পরামর্শ: পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।