
ক্যালসিয়াম বললেই প্রথমে আমাদের মনে আসে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের কথা। অনেকেই আছেন যাদের দুগ্ধ জাতীয় খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় বা lactose intolerance আছে, তারা দুধ জাতীয় খাবার খেতে পারেন না। তাদের জন্য দুধ ছাড়াও কিছু সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান রয়েছে যা ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হতে পারে। যেমন, কাঠবাদাম (আলমন্ড)। এই কাজ বাদাম ও শুকনো ডুমুর দিয়ে তৈরি স্মুদি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব।
সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকা জরুরি। এই খনিজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা, সবসময় আলস্য বোধ হতে পারে, অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যাও দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে চল্লিশের পর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সময় অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শুরু করে দেন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ উল্টো ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
পেটব্যথা, বমিভাব, অবসাদ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, হাইপার ক্যালসেমিয়া অর্থাৎ রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এছাড়াও অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত হৃদ্রোগের ওষুধ বা আয়রন সাপ্লিমেন্ট খান, তাদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে সংঘাত হতে পারে। এর ফলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বা বমিভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
উপকরণ * ১০টি ভেজানো কাঠবাদাম * ১টি শুকনো ডুমুর * ১ কাঠবাদামের দুধ * ১ চা চমচ চিয়া বীজ * আধ চামচ দারচিনি * ১ চামচ মধু
সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে পিষে নিন। মিহি মিশ্রণ তৈরি হবে। সেটি ফ্রিজে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। এই স্মুদি নিয়ম করে খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব পূরণ হবে।