
সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক পুষ্টি গ্রহণ, নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, আগে থেকেই কিছু বিষয় যেমন - নিজের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি, আর্থিক পরিকল্পনা এবং সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।
*শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি:
* ডাক্তারের পরামর্শ: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগেই একবার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নিন।
* সুষম খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, যা মা ও গর্ভের শিশুর জন্য জরুরি।
* স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
* ফোলিক অ্যাসিড: গর্ভাবস্থার আগে থেকে ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যা শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
** আর্থিক ও অন্যান্য পরিকল্পনা:
* আর্থিক অবস্থা: সন্তানের আগমনের পর প্রয়োজনীয় খরচ এবং ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা সেরে ফেলুন।
* কাজের পরিকল্পনা: আপনার পেশাগত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিন, যেমন - কিছুদিনের জন্য বিরতি নেওয়া বা কাজের সময় পরিবর্তন করা।
* প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র: শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন - জামাকাপড়, বিছানা, এবং অন্যান্য সরঞ্জাম আগে থেকে কিনে রাখুন।
** সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা:
* দায়িত্ব ভাগাভাগি: গর্ভাবস্থায় এবং সন্তানের জন্মের পর দুজনের কী কী দায়িত্ব থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা করুন।
* মানসিক সমর্থন: গর্ভাবস্থার সময় একে অপরের পাশে থাকুন এবং মানসিক সমর্থন দিন।
** মনে রাখার বিষয় গর্ভাবস্থা এবং শিশুর যত্ন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই সময়কালে ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে বা প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।