
এনার্জি ড্রিঙ্ক মানেই স্পোর্টস ড্রিঙ্ক ভেবে ফেলেন অনেকেই। আবার অনেকের মতে এনার্জি ড্রিংক্স। কোনটি ভালো তা নিয়ে চলে নানান চিন্তা। তবে তফাতটা অবশ্যই পানীয়টি কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে তার উপর।
একটু গরম লাগলে বা ভীষণ খাটাখাটনির পর না ভেবেচিন্তেই একটা রঙিন দেখতে এনার্জি ড্রিংক কিনে খেয়ে নেন আপনিও কি ? আপনার বাচ্চাকে খেলাধুলা করতে যাওয়ার সময়ে কোনো স্পোর্টস ড্রিংকের বদলেও কিনে দিচ্ছেন এনার্জি ড্রিংক। কোনো সফ্ট ড্রিংকের থেকে এটাই অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলে তাই খাচ্ছেন। তবে জানেন কি এই দুই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য।
১। এনার্জি ড্রিঙ্ক : এনার্জি ড্রিঙ্ক শক্তি বাড়ানোর জন্য খাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যাফিন মেশানো হয়। ফলে খাওয়ার সাথে সাথে শরীর ও মন সতেজ হয়ে ওঠে। আর শরীরে গ্লুকোজের যোগান দেয় যা এনার্জি প্রদান করে। রীতিমতো ট্রেন্ডে চলকায়ে এই এনার্জি ড্রিংক। শপিং মল, রেস্তরাঁ-হোটেল— প্রায় সব জায়গায়ই আজকাল এনার্জি ড্রিঙ্কসের রঙিন ছোট-বড় বোতল, ক্যান কিনতে পাওয়া যায়। কিছু কিছু ব্র্যান্ডের দাম ইমতু বেশি হলেও অনেক এমন লোকাল ব্র্যান্ডও আছে যার দাম তরুণ বয়সীদের সাধ্যের মধ্যেই।
২। স্পোর্টস ড্রিঙ্কস : স্পোর্টস ড্রিঙ্কের মূল উপাদানই হল কার্বোহাইড্রেট। এছাড়াও থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ সমূহ। এনার্জি ড্রিংকের মতো এতে ক্যাফিন থাকে না। সাধারণত খেলোয়াড়েরা এই ধরণের পানীয়ই বেশি খেয়ে থাকেন। শরীরচর্চার আগে ও পরে, ক্যালোরির ঘাটতি মেটাতে পান করার পরামর্শ দেন খেলার কোচ বা ডায়েটিশিয়ানেরা। প্রতিদিন ভীষণ পরিশ্রম যাঁদের বেশি করতে হয় অথবা যারা জলশূন্যতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই পানীয়টি উপযোগী।
জানেন কি আপনি বাড়িতেও স্পোর্টস ড্রিঙ্ক বানিয়ে নিতে পারেন। তবে শুধু জলে চিনির বদলে মধু, সৈন্ধব লবন, লেবুর রস, ক্যালশিয়াম - ম্যাগনেশিয়াম পাউডার মিশিয়ে সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন আপনিও স্পোর্টস ড্রিঙ্কস।
এনার্জি ড্রিংক অতিরিক্ত খেলে কি হয়?
ভীষণ পরিশ্রমের পর শরীরের ক্যালোরির ঘাটতি হলে এনার্জি ড্রিঙ্ক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এজন্য খেলোয়াড় মহলে স্পোর্টস ড্রিংকের পাশাপাশি এনার্জি ড্রিংকের কদরও রয়েছে। তবে প্রয়োজন ছাড়া রঙিন মিষ্টি জল খেতে ভালো লাগে বা কেবল অভ্যাসের বসেই একের পর এক এনার্জি ড্রিঙ্ক কিনে খেয়েই চলেছেন তাহলে তা আজই বন্ধ করুন। কারণ ক্যাফিন পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এনার্জি ড্রিঙ্কের ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটারে অন্তত ৩২ মিলিগ্রাম বা তারও বেশি পরিমাণ ক্যাফিন থাকে। যা খেলে আপনার হজমশক্তি দুর্বল, গ্যাস-অম্বল ও অ্যসিডিটির সমস্যা বেড়ে যায়। স্থূলতা, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, মাইগ্রেন, ডায়াবিটিসের মতো সমস্যাও বাড়ে। অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করা শিশু থাকলে সেইসব এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে রক্তচাপ বাড়বে, হৃদ্রোগের আশঙ্কাও তৈরি হবে। যে কারণে দরকার হলে বাড়িতে স্পোর্টস ড্রিংক বানিয়ে khan তবে দোকানের কেনা এনার্জি ড্রিংক নয়।