মাত্র ৪০ পয়সায় এই ওষুধটির কামাল, হার্ট অ্যাটাক থেকে প্রাণ বাঁচানোর মোক্ষম ওষুধ..

Published : Dec 02, 2025, 03:12 PM IST
Why Do Heart Attacks Happen More Often in the Morning

সংক্ষিপ্ত

শীতকালে আমাদের রক্তনালী গুলি কিছুটা সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং হৃৎপিণ্ডকে রক্ত সঞ্চালনের জন্য অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়। এই অতিরিক্ত চাপের কারণে হৃদপিন্ডের ওপর ধকল বাড়ে যা হার্ট এটাকের অন্যতম কারণ।

এক কথায় হার্ট অ্যাটাক হল মৃত্যুর দূত। প্রাণ যদি রক্ষাও হয়, শরীরের ক্ষতি আর চিকিৎসার পিছনে বিপুল খরচ এড়ানো যায় না। আধুনিক জীবনযাত্রায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। শুধু বয়স্করাই নয়, এখন চল্লিশের কোঠায়, এমনকী ছোটদেরও হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। ভোররাতে বা সকালবেলা, বিশেষ করে শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। কেন এমনটা হয় জানতে চাইলে সবার আগে রোগটির কারণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে হবে।

শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা তুলনায় বেশি হয়। এর পিছনে কিছু কারণ আছে। এমনিতে এই সময় শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য হৃৎপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। হৃদযন্ত্র দুর্বল থাকলে বেশি পরিশ্রম করতে গিয়ে সমস্যা হয়। তখন শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়ে দেখা দিতে পারে হাইপোথার্মিয়া। এর ফলে হৃদপেশীর ক্ষতি হয় যা থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। আর একটি কারণ হল, শীতের ঠান্ডায় শরীরের রক্তবাহী নালী সঙ্কুচিত হওয়ার ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। হার্টের করোনারি আর্টারিতে এই কারণে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে হৃদপেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ কম বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হৃদপেশী ঠিক ভাবে কাজ করতে না পারলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্মণ হল বুকে ব্যাথা। ব্যথাটা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বুক থেকে ব্যথা হাত, ঘাড়, গলা, চোয়াল পর্যন্ত উঠে আসে। অস্বস্তি বা দম ফুরিয়ে যাওয়া এর আর একটা লক্ষ্মণ। তার সঙ্গে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, ঘুমোতে সমস্যা, পেটে অস্বস্তি, জ্বালাভাব, বুক ধড়ফড় করা, অত্যাধিক ঘামের মতো লক্ষ্মণগুলো থাকবে। অনেকসময় এত কিছু লক্ষ্মণ শরীরে জানান দেয় না। একে বলে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক। একটা মৃদু অস্বস্তি, দম চাপা ভাব, যেন পেটে গ্যাস হয়েছে এমনটা মনে হয়।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষ্মণ দেখা দিলে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব কাছের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, যেখানে এর চিকিৎসা হয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। দেরি হলে আরও বড় সমস্যা হতে পারে। তাই বুকে ব্যথার সঙ্গে ধড়ফড় ভাব, অস্বস্তি, ঘাম দেওয়ার মতো উপসর্গ হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে হবে। সেরে যাবে ভেবে গড়িমসি করা বা নিজে একা হাসপাতালে যাওয়ার মতো বোকামি করা চলবে না। বিশেষ করে নিজে গাড়ি চালিয়ে একেবারেই যাওয়া উচিত নয়।

বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডক্টর সাকেত গোয়েল পরামর্শ দিয়েছেন যে কোন জরুরী পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রত্যেকের বাড়িতে একটি ওষুধ ডিসপ্রিন ট্যাবলেট রাখা উচিত তার মতে কুড়ি থেকে চল্লিশ পয়সার এই একটি ট্যাবলেট সঠিক সময়ে সেবন করা হলে জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে হার্ট এটাকে লক্ষণ দেখা দেয় যেমন বুকে তীব্র যন্ত্রণা বা চাপ, উভয় বাহুতে বা চোয়ালে অসারতা অথবা ব্যথা অনুভূতি হয়, অবিলম্বে একটা ডোজ ডিসপ্রিন চিবিয়ে খেতে হবে এবং তারপর জল পান করতে হবে।ডাক্তার এটাও নিশ্চিত করেছেন যে এটি খাওয়ার কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

সঠিক সময় যদি এই ওষুধটি প্রয়োগ করা যায় তাহলে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ কমানো সম্ভব।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে এমন সাতটি সুপারফুড
শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই সাতটি সুপারফুড