লাঞ্চ যদি দেরিতে করেন তাহলে তিনটি অসুখ থেকে কোনও দিনই মুক্তি পাবেন না। আর যাদের এই তিনটি সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই আগে থেকে যত্নবান হতে হবে।
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হলে তার প্রথম শর্তই হল রুটিন মেনে চলা। অর্থাৎ খাওয়া থেকে শোয়া - সবকিছুই যেন হয় টাইম মেনে। তাহলে বেশ কতগুলি অসুখ আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। তেমনই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন আপনি। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য যেমন ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা জরুরি তেমনই ব্রেকফার্স্ট থেকে শুরু করে লাঞ্চ এমনকি ডিনারও নির্ধারিত সময় করা উচিৎ। এতে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। ঘুম থেকে ওঠার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই ব্রেকফার্স্ট সেরে ফেলা জরুরি। তেমনই দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়া জরুরি। যদি কোনও দিন ব্যস্ততার কারণে দেরিও করেন তাহলে ভুলেও বেলা তিন দুপুরে ভারী খাবার খাবেন না। হালকা কিছু সঙ্গে সরবত আর ফল খেয়ে পেট ভরান।
তবে লাঞ্চ যদি দেরিতে করেন তাহলে তিনটি অসুখ থেকে কোনও দিনই মুক্তি পাবেন না। আর যাদের এই তিনটি সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই আগে থেকে যত্নবান হতে হবে।
অম্বল-
যাদের এই সমস্যা তাদের বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নেওয়া জরুরি। তা না হলেই অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। সময় মত দুপুরের খাবার না খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রবল আকার নিতে পারে। আর দুপুরের খাবার খেয়েই কখনও ঘুমিয়ে পড়বেন না। তাহলেও এজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাথাব্য়াথা
দুপুরের খাবার সময়মত না খেলে মাথার ব্যাথা হতে পারে। এটি ক্ষুধার কারণে হয়ে থাকে। নিয়মিত যদি বেলায় খাবার খান তাহলে এটি প্রতিদিন অনুভব করবেন। এসে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে। কোনও কাজেই মন বসবে না।
গ্যাস
দুপুরের খাবার না খেলে গ্যাসের সমস্যা হতেই পারে। কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, মিথেন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দিয়ে তৈরি গ্যাসগুলি পেটে জমে ব্যাথা তৈরি করে। শারীরিক কষ্ট বাড়বে। যাদের এমনিতেই গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের নিয়মিত আর নির্ধারিত সময় অন্তর খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে শারিরীক সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।