কোভিড মহামারি শেষ হল বলে ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। মহামারি বর্তমানে শেষ পর্যায়ে চলেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কালো ছায়া মুক্তি হল বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে কোভিড-১৯ এর জন্য আর বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থার প্রয়োজন নেই। মহামারি বর্তমানে শেষ পর্যায়ে চলেছে। তবে মহামারি বিদায় নেওয়ার আগে ৬.৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন নিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিকেও কালো প্রভাবে ফেলেছে করোনাভাইরাসের এই মহামারি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটি বৃহস্পতিহার বৈঠক করে। রাষ্ট্র সংঘের আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে। গত দিন বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ চলছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রাস আধনম ঘেইব্রেয়াসুস জানিয়েছেন, 'আমি অত্যান্ত আশার সঙ্গে জানাচ্ছি কোভিড-১৯কে আর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে রাখার প্রয়োজন নেই। ' তিনি আরও বলেন, জরুরি অবস্থার সমাপ্তি মানে এই নয় যে কোভিড-এর ঝুঁকি সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। এটি এখনও বিশ্বের জনগণের কাছে স্বাস্থ্যের একটি ঝুঁকি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটির প্রধান বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালে কোভিডের কারণে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কারণ কোভিড সংক্রমণ দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছিল। আর কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ভ্যাকসিন আর চিকিৎসার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন বর্তমানেই কোভিড ১৯ এর প্রকোপ রয়েছে। বহু মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্ত এর জন্য আর জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। এটি কোভিড ১৯এর আগে একরকম অবস্থা ছিল। আর এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। তবে এই পরিবর্তন থেকেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রতি সপ্তাহে মৃত্যুর হার ছিল ছিল ১ লক্ষ। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ৩৫০০এর কিছু বেশিতে।
আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন মহামারি শেষ হয়েছে। অন্যান্য দেশের মত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিও অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা হ্রাস করতে শুরু করেছিল। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ভ্যাকসিনের জন্য অর্থ প্রদান বন্ধ করা। বিশ্বের বাকি দেশগুলিও এই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাহামারির সঙ্গে বিশ্বের বহু দেশই খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছে। অনেক দেশই জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলে নিয়েছে।