আলু খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি তাঁরা আলু খেতে পারেন না ঠিকই, কিন্তু কোনও রান্নাই আলু ছাড়া যেন সম্পুর্ণই হয় না।কিন্তু আলপু খেলেও তা খোসা ছাড়িয়েই খান অনেকে। কিন্তু জানেন কী, আলুর থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ লুকিয়ে রয়েছে আলুর খোসায়।
১) আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফাইবার, যা হজম শক্তিকে বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কারণ, আলুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এই ফাইবার খাবারকে খুব সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। তাই হজম ক্ষমতাকে কার্যকরী করে তোলার জন্য আলু খোসা সমেতই রান্না করুন।
২) আলুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খনিজ। এইসব খনিজ শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই এতে থাকা পটাশিয়ামও একইভাবে উপকারী। কারণ এই পটাশিয়ামই স্নায়ুতন্ত্রকে সচল রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খোসাসহ আলু খান।
৩) শরীরের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল আয়রন। আয়রন আমাদের শরীরের রক্তকণিকার স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪) আলুর পাশাপাশি আলুর খোসাও প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেট-এর উৎস। তাই আপনি যদি খোসা সমেত আলু রান্না করে খান তাহলে এই উপাদানগুলি শরীরে আরও বেশি মাত্রায় যোগ হবে এবং শরীর থাকবে রোগমুক্ত।
৫) আগেই বলা হয়েছে যে আলুর খোসা ফাইবারের উৎস। এই ফাইবার শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর একটা খুব গুরুত্বপুর্ণ কাজ করে তা হল, শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ টেনে নেয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।