মন ভাল করা মানেই দরকার উপহারের। আর বাচ্চাদের উপহার মানেই আমরা জানি চকোলেট, পুতুল, হরেক রকমের ক্যান্ডি। মন ভোলানোর জন্যই হোক বা উপহার হিসেবে আমরা সবসময় এই ধরণের চকোলেট, ক্যান্ডির উপর বেশি ভরসা রাখি। কিন্তু এই ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে বাচ্চাদের শরীর খারাপ হতে পারে। আর তার চেয়েও বড় হল বাইরের এই ধরনের প্রসেসড ফুড শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। নিয়ম করে এই জিনিসগুলি খেলে দাঁতেরও সমস্যা হতে পারে। একটানা এইগুলি খেলে ক্যাভিটির মতোও সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন- বাড়িতে এই পোষ্যগুলি থাকলে ফিরবে সৌভাগ্য, দূর হবে নেগেটিভ শক্তি...
যতটা পারবেন প্রসেসড ফুডের বাইরে গিয়ে বাড়ির তৈরি করা ঘরোয়া খাবার বাচ্চাকে দেওয়ার চেষ্টা করুন। যদিও ঘরের তৈরি কোনও খাবার খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না এখনকার দিনের বাচ্চারা। তাই চকোলেট ক্যান্ডির বদলে বাড়িতে তৈরী কিছু হেলদি স্ন্যাক্স, যা স্বাদে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর সেগুলি খেতে দিন। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে ডেকোরেশনের উপর। যেই খাবারগুলি উপকারী কিন্তু বাচ্চারা খেতে চায় না সেগুলির উপর বেশি জোর দিতে হবে।
টাটকা মরশুমি ফল
ফল খেতে অনেক বাচ্চাই পছন্দ করে না। তাহলে বাচ্চাকে ফল খাওয়াবেন না। এ আবার হয় নাকি। মরশুমি ফল খাওয়াটা প্রত্যেকের জন্য খুব দরকার। তাই দুপুর ১২ টা থেকে ২ টোর মধ্যে কয়েক রকমের মরশুমি ফল কেটে একটি সুন্দর প্লেটে সার্ভ করুন আপনার বাচ্চাকে। আর তার মধ্যে একটি টুথপিক গুজে দিন। দেখবেন কেমন আনন্দের সঙ্গে পুরোটা প্লেটটা ফাকা করে দেবে।
আইসক্রিম
আইসক্রিম খেতে ভালবাসেনা এমন বাচ্চার সংখ্যা নেহাতই হয়তো হাতে গোনা। তাই বাইরের আইসক্রিম না খাইয়ে নিজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলুন আইসক্রিম। আপনার বাচ্চা তাতে যেমন খুশি হবে তেমনি আনন্দের সঙ্গে সেটি খেয়ে নেবে। প্রয়োজনে তার মধ্যে কিছু শুকনো ফলও দিয়ে দিতে পারেন।
প্যানকেক
বাজার চলতি কেক তো অনেকই খাইয়েছেন এবার নিজেই বাড়িতে বসেই চটপট তৈরি করে ফেলুন প্যানকেক। এই প্যানকেক অনেক ধরনের হয়। যেমন ধরুন, কলার, গাজরের, ডিমের ইত্যাদি। আপনার বাচ্চার পছন্দ মতো অনায়াসেই বানিয়ে নিতে পারেন এই প্যানকেক। দুধ, সুজি, কলা, আটা বা ময়দা, চিনি দিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে অনায়াসেই বানিয়ে নিতে পারেন এই প্যানকেক।
ড্রাই লাড্ডু
চকোলেট সব বাচ্চারই মোস্ট ফেভারিট। কিন্তু রোজ চকোলেট খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক নয়। তাই শুকনো ফলের সঙ্গে সুগার ফ্রি পিনাট বাটার, সামান্য মধু মিশিয়ে বলের আকারে গড়ে নিন। ২-৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর সার্ভ করুন। চাইলে চৌকো করে চকোলেটের শেপও দিতে পারেন। অনায়াসেই এক সপ্তাহ রেখে দিতে পারবেন এই লাড্ডু।