আন্ডারআর্মস-এ কালো ছোপ বা দাগ যা নিয়ে অনেকেরই কপালে ভাঁজ। বিশেষত এই সমস্যার কারণে বহু মহিলারই স্লিভলেস বা হাতকাটা পোশাক পরতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু কেন হয় এই কালো ছোপ, কিভাবেই বা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন চলুন আজ সেই বিষয়েই একটু চোখ রাখা যাক।
বিয়ের আগে কী কী মেডিকেল টেস্ট জরুরি, জানুন এখনই
কেন হয়?
অনেকেই বল থাকেন ওয়্যাক্সিং না করে রেজার বা ব্লেডের সাহায্যে আন্ডারআর্মস বা বগল দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করলে এই কালো ছোপ আসতে পারে। কিন্তু এমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না, কারণ রয়েছে অনেক কারণ। ডায়াবেটিস বা ওবেসিটি এর অন্যতম কারণ হতে পারে। হরমোনাল ডিসঅর্ডার বা জিনগত কারণেও কালো ছোপ পড়তে পারে।
আবার কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও এমন সমস্যা হতে পারে। লিভার, কোলন ক্যানসার আক্রান্ত হলেও কালো ছোপ পড়তে পারে বলে জানা যায়। জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ টানা খেতে থাকলেও আপনার আন্ডারআর্মস বা শরীরের অন্য কোথাও তার প্রভাব পড়তে পারে।
কাউকে দেখে নয়, মুখের আকৃতি বুঝে করান হেয়ার কাট
কিভাবে সমস্যার সমাধান হবে?
বাড়িতেই অনেকে অনেক টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। হলুদ বাটা, দুধের সর, লেবুর রস, শসার নির্যাস। কিন্তু অনেকেরই আবার ঘরোয়া টোটকাতে সমস্যাও হতে পারে। তাই ডার্মাটোলজিস্ট-এর সঙ্গে কথা বলে তবেই এসব ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও অনেকে আবার বেকিং সোডা এবং জল নিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা ব্যবহার করেন কালো ছোপ দূর করতে। কেউ আবার দুধের ঠাণ্ডা সর এবং ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে সেই প্রলেপও ব্যবহার করে থাকেন।
অফিসে বসে বসে কাজ করে মোটা হয়ে যাচ্ছেন, লাঞ্চে রাখুন এগুলি
এছাড়া কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে তাতে দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি কালো ছোপ তুলতে তা ব্যবহার করেন। কাটা আলু ৫ মিনিট ঘষেও কালো দাগ দূর করার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। আর এসব বাদ দিয়ে অনেকে লেজার থেরাপির শরণাপন্নও হয়ে থাকেন। তবে মাথায় রাখবেন, কালো দাগ অনেক কারণেই হতে পারে, তাই তা নিয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। সম্ভব হলে ডার্মাটোলজিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও কিছু ব্যবহার করলেই ভালো।