আসলে আবহাওয়া নয় বরং গ্রুমিং রুটিন, যে কারণে প্রায়ই ঠোঁট ফাটে। এমনকী, অনেক সময় ম্যাট লিপস্টিক পরলেও ঠোঁট ফেটে যায়। এটি প্রায়ই ঘটে যখন অনেকে সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন নেন না বা নিম্নমানের লিপস্টিক ব্যবহার করেন।
শীতকালে (Winter) ঠোঁট (Lips) ফাটা খুবই সাধারণ বিষয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে শীতকাল না হলেও অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যাচ্ছে। আর তার ফলে মন খারাপ হয়ে যায় বহু মহিলার। আসলে পছন্দ মতো লিপস্টিকও পরতে পারেন না তাঁরা। কারণ লিপস্টিক (Lipstick) পরলেই সেই ফাটা ঠোঁট অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটা আসলে আবহাওয়া নয় বরং গ্রুমিং রুটিন, যে কারণে প্রায়ই ঠোঁট ফাটে। এমনকী, অনেক সময় ম্যাট লিপস্টিক পরলেও ঠোঁট ফেটে যায়। এটি প্রায়ই ঘটে যখন অনেকে সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন নেন না বা নিম্নমানের লিপস্টিক ব্যবহার করেন।
এছাড়া অনেক সময় শুধু ম্যাট লিপস্টিক লাগালেই ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁট ফেটে যাওয়ার ফলে ব্যথাও হয়। এমনকী, অনেক বেশি পরিমাণে ফেটে গেলে ঠোঁট থেকে রক্তও বের হয়। এমন অবস্থায় ঠোঁট ভালো হয়ে স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে, কিন্তু ঠোঁট ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আবার লিপস্টিক লাগালেই এই সমস্যাটা সামনে চলে আসে। তবে লিপস্টিক লাগানোর পর ঠোঁট ফাটা আটকাতে মেনে চলুন কয়েকটি টিপস।
লিপস্টিকের গুণমান পরীক্ষা করতে ভুলবেন না
লিপস্টিকের গুণমান কী এবং এতে কী কী জিনিস মেশানো হয়েছে, কেনার আগে এটা জানা খুবই জরুরী। আসলে শুধুমাত্র দেখলাম আর কিনে নিলাম এটা একেবারেই করবেন না। প্রতিটি লিপস্টিকে মোম, তেল এবং পিগমেন্ট মেশানো হয়। কিন্তু এই উপাদানগুলো পরিবর্তিত হয়ে ম্যাট লিপস্টিক বা চকচকে লিপস্টিক তৈরি করে। ম্যাট লিপস্টিকে বেশি মোম, রঙ এবং কম তেল ব্যবহার করা হয়, যার কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই অবস্থায় তেল কম থাকায় অনেক সময় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। তাই আপনি যখনই লিপস্টিক কিনবেন, এই সমস্ত জিনিসের যত্ন নিন।
ঠোঁট ভালো করে পরিস্কার করুন
ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটের যে কোনও রুক্ষ দাগের মধ্যে স্টে করতে পারে এবং এটি ঠোঁটের ত্বককে অবনতির দিকে নিয়ে যায়। তাই আপনি যখনই যে কোনও লিপস্টিক লাগাবেন, প্রথমে আপনার ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন। লিপস্টিক লাগানোর আগে ও পরে ঠোঁট ভালো করে স্ক্রাব করে পরিষ্কার করে নিন। এতে ঠোঁটের ত্বক সুস্থ থাকবে। পাশাপাশি ঠোঁট ফাটাও আটকানো সম্ভব হবে। আর লিপস্টিক পরলেও ঠোঁট থাকবে মসৃণ।
লিপস্টিক ব্যবহারের আগে লিব বাম লাগান
লিপস্টিক ব্যবহারের আগে সবসময় লিপবাম লাগান। লিপবাম লাগালে ঠোঁটের ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে এবং লিপস্টিক ব্যবহার করলে আমাদের ঠোঁট ফাটে না এবং উজ্জ্বলও থাকে। তবে বেশি রাসায়নিক যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করবেন না। সাধারণ পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি ত্বকের পক্ষেও যথেষ্ট ভালো হয়।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ঠোঁটের ত্বকের সবচেয়ে বেশি যত্ন নেওয়া উচিত, কারণ এটি খুব নরম। তাই ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। আপনার ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করার পরে, একটি ময়েশ্চারাইজার লাগান। এছাড়া ঠোঁটে আর্গান অয়েল বা নারকেল তেল লাগাতে পারেন।