প্রতিটি সম্পর্কেই থাকে দায়বদ্ধতা। আর সেই দায়বদ্ধতা এড়িয়ে চলতে শুরু করলেই সম্পর্কে সমস্যার শুরু। আর বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দিনের পর দিন ছোটখাটো বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে বেড়েই চলেছে সমস্যা। একটা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পর দুদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে অরেকটি নতুন সমস্যা। যে কোনও একটি সম্পর্ক শুরুতে ভালো থাকলেও, কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যায় সমস্যা। আগে যে বিষয়গুলি হাসির ছলেই মিটে যেত এখন সেই একই বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে ঝামেলা, অশান্তি। তাই এটা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন ঠিক কখন সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা শুরু হচ্ছে। তাহলে আপনি নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে তা সামলাতে পারবেন। হয়তো আপনার নেওয়া এই ছোট্ট পদক্ষেপের ফলে আবার সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে পারে সম্পর্কটি।
আরও পড়ুন- লকডাউনের জের, নির্জনতার সুযোগে সমুদ্র সৈকত দখল করল কয়েক লক্ষ কচ্ছপ
নিজের সম্পর্ককে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলতে কাজে লাগান লকডাউনের এই সময়টি। কারণ এতটা সময় একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ আর হয়তো পাবেন না। তাই এই সময়েই মিটিয়ে ফেলুন মনের মধ্যে থাকা ছোটখাটো দ্বন্দ্ব ও জিজ্ঞাসা। যাতে আবারও একবার নতুন করে শুরু করতে পারেন খিটখিটে হয়ে যাওয়া সম্পর্ক। তাই অবশ্যই সম্পর্ককে সুন্দর ভাবে রিস্টার্ট করতে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো।
সম্পর্কের সমস্যা মানসিক ভাবে ভীষণ প্রভাব ফেলে। এতে করে আপনার বন্ধু-বান্ধব, অফিস বা অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমস্যার শুরু হতে থাকে। তাই ধীরে ধীরে সম্পর্কের বাঁধন থেকে নিজেকে আলগা করে নিন। যখন আপনার সঙ্গী বুঝতে পারবেন, তিনি অবশ্যই আপনাকে কাছে টেনে নেবেন। আর যদি তা না হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার কোনওদিন ছিলই না। সঙ্গীর থেকে যখনই শুনবেন আপনি কোনও কাজই সঠিকভাবে করতে পারেন না বা আপনি কোনও কাজের জন্যই যথেষ্ট নন। তখন বুঝবেন হয়তো আপনার সঙ্গী সম্পর্কের থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। অথবা এমন পরিস্থিতিতে কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই রিয়্যাক্ট না করে সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন। তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন, আলোচনার মধ্যে সমস্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন- গবেষণা বলছে দিবানিদ্রা খারাপ নয়, লকডাউনের সুযোগে তাই দুপুরে ঘুমিয়ে নিন এই ক-দিন
সমস্যা যদি এর থেকেও বেশি হয়, তবে একটা কথা আপনাকে সব সময় মাথায় রাখতে হবে, জোড় করে আপনি কাউকে সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। আর সম্পর্কের বাইরেও আপনার নিজস্ব একটা জগৎ আছে। নিজেকে বেশি করে সময় দিন আর সঙ্গীকেও তার নিজের মত করে সময় কাটাতে দিন। জীবনে চলার পথে সব সময় দুটো মানুষের মতের মিল নাই হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শুরুতেই অশান্তিতে না গিয়ে, সঙ্গীর মতামত গুরুত্ব দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার মতামতটিও সঙ্গীকে বোঝান, এভাবেই একটি বিষয়ে মিলেমিশে দুজনে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে সম্পর্কও ভালো থাকবে, দুজনের গুরুত্ব দুজনের কাছে সমান থাকবে।