গত বছরের হিসাব বলছে শহরের এই এলাকায় ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল টাইপ টু ডেঙ্গু

Indrani Mukherjee |  
Published : Jun 28, 2019, 01:50 PM ISTUpdated : Jun 28, 2019, 01:52 PM IST
গত বছরের হিসাব বলছে  শহরের এই এলাকায় ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল টাইপ টু ডেঙ্গু

সংক্ষিপ্ত

গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বিশেষত বর্ষা এলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে সে বছর কলকাতার বুকে প্রায় ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের বেশিরভাগই টাইপ টু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন

গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা এলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। আর এই বৃষ্টির জমা জল থেকেই জন্ম নেয় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার বিস্তার ঘটছে। ২০১৮ সালে ডেঙ্গুর যে ভয়াবহ রূপ মানুষ দেখেছে তা খুব সহজে ভোলা যে অসম্ভব, সেকথা বলাই বাহুল্য। সে বছর কলকাতার বুকে প্রায় ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গুর প্রকোপে। 

চিকিৎসক মহলের দাবি, শহরের যে যে জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ পড়েছিল সেই সেই জায়গাগুলিতে এই বছর লাল সতর্কতা জারি করা উচিত। সেবছর কলকাতার গল্ফগ্রীন, বিজয়গড় ও যোধপুর পার্ক এলাকাগুলি ছিল সবথেকে ডেঙ্গুপ্রবণ। পাশাপাশি ২০১৮ সালের ট্রেন্ড অনুযায়ী, উত্তর কলকাতার হাতিবাগান ও বাগবাজার এলাকাও ডেঙ্গুপ্রবণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের। ২০১৮ সালে ডেঙ্গুতে যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের রক্তের নমুনাগুলি পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কলেরা ও আন্ত্রিক-এ।  আর সেখানেই গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, রক্তে প্রাপ্ত ডেঙ্গুর নমুনা আসলে টাইপ II (টু) ডেঙ্গু। বিশেষজ্ঞদের কথায় এই টাইপ II-প্রজাতির ডেঙ্গু কিন্তু  ভয়ঙ্কর ভাবে সংক্রামক। জানা গিয়েছে যে, ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই টাইপ II ডেঙ্গুর কারণেই। 

চিকিৎসকদের দাবি, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হলে তবেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বাড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু এখানেই পাওয়া যায়
বাড়ির বারান্দা সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই কয়টি গাছের মধ্যে একটি, রইল তালিকা