সমাজের চোখ খুলে দিতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিল এক বিপণনী সংস্থা। বিজ্ঞাপনে প্রথমবার উঠে এল সমলিঙ্গ প্রেমের কথা।
ভালোবাসা, প্রেমের কোনও বয়স নেই। তা মানে না সমাজ। আর সে কারণেই অসম বয়সের প্রেম কিংবা সব লিঙ্গ প্রেমের উদাহরণ মেলে সর্বত্র। আর এই কারণেই সমলিঙ্গ প্রেমের স্বীকৃতি দিতে চালু হয়েছে ৩৭৭ ধারা। কিন্তু, আইনের চোখে এই প্রেম যতই সহজ হোক, সমাজের চোখে কি তা সহজ? তা হয়তো নয়। মেয়ে-মেয়ের প্রেম হয়েছে শুনলে এখনও লোকে ছিঃ ছিঃ করে। জেন ওয়াইয়ের দৌলতে প্রেম শব্দটা এখন অনেকটাই 'কুল'। তবুও সমকামী (Homosexuality) যুগল দেখলেই রে রে করে ওঠে সমাজ। আইনত স্বীকৃতি পেলেও এই প্রেমকে এখনও হয়তো সেভাবে মেনে নিতে পারেনি সমাজ। কিন্তু, সমাজের চোখ খুলে দিতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিল এক বিপণনী সংস্থা। বিজ্ঞাপনে প্রথমবার উঠে এল সমলিঙ্গ প্রেমের কথা।
সম্প্রতি, ভাইরাল হয়েছে একটি বিউটি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন। যা তৈরি করওয়া চৌথ নিয়ে। বিজ্ঞাপনের শুরুটা দুই সম বয়সী মেয়েকে দিয়ে। তারা দুজনেই রূপচর্চায় ব্যস্ত। একজন অন্যকে পোশাক নির্বাচনে সাহায্য করছে তো অন্যজন মুখে মাস্ক লাগাতে সাহায্য করছে। দুজন মিলে প্রস্তুতি নিচ্ছে করওয়া চৌথের। এরই মাঝে একে অন্যকে জানাচ্ছে কেন তারা মনের মানুষের জন্য এই কঠিন ব্রত পালন করছে। দুজনের গল্পের মাঝে এন্ট্রি নেন এক মাঝ বয়সী মহিলা। যিনি দুজনকেই উপহার দিলেন নতুন শাড়ি। সেই নতুন শাড়িতে, সেজেগুজে দিনের শেষে তাঁদের সামনে হাজির হলেন দুই তরুণী। এবার মিলল আসল চমক। বিজ্ঞাপন শেষে দেখা গেল এই ব্রত তারা রেখেছেন একে অন্যের জন্য। তারা দুজনে একে অন্যের প্রেমিক। আর তাঁদের সম লিঙ্গ প্রেমে পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে পরিবারের।
তবে, প্রেমের স্বীকৃতি পেলেও এখনও তাদের মেলেনি বিবাহের অধিকার। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ঘর বাঁধার অধিকার থেকে বঞ্চিত গে (Gay), লেসবিয়ানরা (Lesbian)। তাতে কী, একে অন্যের মঙ্গল কামনায় পুজো তো করতেই পারেন। এটাই উঠে এসেছে কয়েক মিনিটের এই বিজ্ঞাপনে। এই বিজ্ঞাপন আরও একবার জানাল প্রেমের গাঢ়ত্ব। তৈরি করল ভালোবাসার এক অন্য উদাহরণ। তার সঙ্গে তুললেন আরও একটি প্রশ্ন। বর্তমান ভারতে সমকামীতা অপরাধ না হলেও সমাজ কি তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে? অনেকের মনে প্রশ্ন তুলেছে এই বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হলে নেট দুনিয়ায় মিলেছে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া। তবে, অধিকাংশের থেকেই মিলেছে সমর্থন।