
লটারি খেলা অনেকের কাছেই অভ্যাস, আবার অনেকেই বড়োলোক হওয়ার আশঙ্কায় লটারি খেলে থাকে। তবে জেতা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে নম্বর বাছাই ও সীমিত সংখ্যক টিকিটে বিনিয়োগ করেও ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। তবে অতিরিক্ত ঝুঁকি এড়ানো প্রয়োজন, কারণ বেশি টিকিট মানেই বেশি খরচ।
১। কম খেলা হওয়া টিকিট নির্বাচন
সাম্প্রতিক কয়েকটি লটারির ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সংখ্যার কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপ ঘন ঘন নির্বাচিত হচ্ছে। ১–৪ এবং ৫–৯ পরিসরের নম্বরের মধ্যে কিছু সংখ্যা তুলনামূলক বেশি বার পুনরাবৃত্ত হয়েছে। তাই অতি ঘন ঘন আসা নম্বর এড়িয়ে চলতে পারেন। আবার তুলনামূলক কম নির্বাচিত নম্বর বেছে নিতে পারেন, এতে ফলাফল ভালো হতে পারে।
২। টিকিট নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যায় নজর
একটি জনপ্রিয় কৌশল হল টিকিট নম্বরের প্রথম পাঁচটি অঙ্কে নজর দেওয়া। বিশেষ করে, যেসব মধ্যবর্তী স্থানেএ নম্বর এর আগের বিজয়ী নম্বরে আসেনি, সেগুলোর খেয়াল করে সেই সিরিজের টিকিট কিনতে পারেন।
উদাহরণ : ধরা যাক, টিকিট নম্বর ৬৪৩৬৮-এর মধ্যম সংখ্যা যদি আগের বিজয়ী সংখ্যাগুলিতে প্রদর্শিত না হয়, তাহলে পরবর্তী ড্রতে সেই সংখ্যাগুলি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে।
৩। ‘বিপরীত সংখ্যা’ নির্বাচন
তুলনামূলক নতুন কিন্তু ব্যবহারযোগ্য পদ্ধতি হলো লটারির নির্দেশিকা অনুসারে 'বিপরীত সংখ্যা' নির্বাচন করা। বিপরীত সংখ্যা হিসেবে যেগুলোকে ধরা হয়, সেগুলি হল -
* ০ এবং ৫
* ১ এবং ৬
* ২ এবং ৭
* ৩ এবং ৮
* ৪ এবং ৯
উদাহরণ : যদি টিকিটে ৫ নম্বর থাকে, তাহলে এটিকে তার বিপরীত, ০ দিয়ে প্রতিস্থাপন করলে সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে, কারণ কিছু সংখ্যার ঘনঘন পুনরাবৃত্তির প্যাটার্নে ‘বিপরীত’ নম্বর অনুপস্থিত থাকলে তা পরবর্তী ড্রতে ফিরে আসতে পারে।
৪। সিরিজ অনুসারে টিকিট কেনা
অনেকে একটি সিরিজের পরপর টিকিট কেনেন। এতে প্যাটার্নে সম্ভাব্য রৈখিকতা ধরে রাখা যায়। তবে সতর্কতা থাকা উচিত, এই পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করলে খরচ অনেকটা বাড়ে। অতএব সাবধানে টিকিট নির্বাচন এবং সংযম থাকা জরুরি।