
খেজুর অনেক উপকারী গুণে ভরপুর। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে পুষ্টিগুণ ছাড়াও স্বাদও অতুলনীয়। ডায়েটের জন্য চিনি এড়িয়ে চলা লোকেরাও দুধে, মিষ্টিতে স্বাদের জন্য খেজুর ব্যবহার করেন। খেজুরের মিষ্টি স্বাদ কার না ভালো লাগে। কিন্তু ফল খাওয়ার পর আমরা বিচি ফেলে দিই। সেই বিচিতেও পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিভাবে এটি উপকারীভাবে ব্যবহার করবেন তা এই পোস্টে দেখুন।
এতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। শরীরের পেশীকে শক্তিশালী করার জন্য প্রোটিন এই বিচিতে পাওয়া যায়। খেজুরের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট কোষের ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করে। শরীরের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ভিটামিন এবং খনিজগুলি খেজুরের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে। খেজুরের বিচিতে ৭ ধরণের উপকারিতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খেজুরের বিচি গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
খেজুর খাওয়ার পর তার বিচি সংগ্রহ করে গুঁড়ো তৈরি করুন। এই গুঁড়ো মিষ্টি, স্মুদি, দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। খেজুরের বিচি জমিয়ে রেখে তার থেকে তেল বের করে ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল চুলের জন্য ভালো। ত্বকের জন্যও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি!
পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এই বিচির গুঁড়ো সাহায্য করে। খেজুরের বিচিতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তবে তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য:
এই বিচির গুঁড়ো নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এর ফলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
খেজুরের বিচির গুঁড়ো খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি খেলে শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
খেজুরের বিচিতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এর ফলে বেশি খাওয়ার ইচ্ছা হয় না। ওজন কমাতে চাইলে এটি একটি ভালো বিকল্প।
চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য;
খেজুরের বিচি থেকে তৈরি তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে চুল মজবুত হয়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে খেজুরের বিচি থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ:
খেজুরের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এই বিচি শরীরের জন্য উপকারী হলেও সবার জন্য একই রকম ফল দেয় না। কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন।