
সুস্থ থাকতে চাইলে আপনার খাদ্যতালিকায় ডিম রাখুন। ডিম প্রোটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এছাড়াও, ডিমে ক্যালোরি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। এগুলি সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ডিম কেবল স্বাস্থ্য রক্ষা করে না, এর সাহায্যে আপনি আপনার ওজনও কমাতে পারেন, জানেন কি?
সাধারণত শরীরে থাকা প্রোটিন ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কারণ এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে এবং পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এছাড়াও ডিম খেলে আপনার পেশী শক্তিশালী হয়। তবে আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে ডিম খাওয়ার সময় কিছু ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ওজন কমানোর জন্য ডিম খাওয়ার সময় করনীয় ও বর্জনীয়:
কুসুম খাবেন না
ডিমের কুসুম অস্বাস্থ্যকর এবং ওজন কমানোর জন্য ক্ষতিকর এই ধারনাটি ভুল। কারণ ডিমের কুসুমে ফাইবার, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ এবং ই, জিংক, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। তাই ওজন কমাতে চাইলে পুরো ডিম খেতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ডিম খাওয়ার সময়
সুস্থ থাকার জন্য ডিম একটি ভালো পছন্দ। অনেকে নির্দিষ্ট সময়ে ডিম খান। উদাহরণস্বরূপ, অনেকে কেবল সকালের নাস্তায় ডিম খান। কিন্তু এটি ভুল। আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে দিনের যেকোনো সময় ডিম খেতে পারেন।
তেল
আপনি বিভিন্ন উপায়ে ডিম রান্না করে খেতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি ওজন কমাতে চান তবে নারকেল তেলে রান্না করে খাওয়া ভালো।
বেশি রান্না করবেন না
ডিম বেশিক্ষণ রান্না করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের মতো পুষ্টি উপাদান কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ডিম রান্না করলে কোলেস্টেরল জারিত হয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ভুল মিশ্রণ
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে ডিমের সাথে পালং শাক, টমেটো, ক্যাপসিকামের মতো ফাইবারযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর সবজি মিশিয়ে খেতে পারেন।
ক্যালোরির প্রয়োজন
ওজন কমাতে ক্যালোরির প্রয়োজন বেশি, তাই ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো।
সঠিক ডিম বাছাই
দোকান থেকে ডিম কেনার আগে প্যাকেজিং এবং মেয়াদ পরীক্ষা করে নেবেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিঃদ্রঃ: আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম খাবেন না। ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া উচিত নয়। তাহলেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।