
মহাশূন্যে সেকেন্ডে ৯৫৪ কিমি বেগে ছুটে চলা এই বিশাল কৃষ্ণগহ্বরটির নাম RBH-1, যা সূর্যের ভরের চেয়ে কোটি গুণ ভারী এবং নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে; এর গতিবেগ ও অভিমুখ মহাকাশে এর 'যাত্রা' নির্দেশ করছে, বিজ্ঞানীরা এর গতিপথ ও প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছেন, যা প্রমাণ করে মহাকাশে এমন দ্রুতগামী কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে এবং এটি সম্ভবত কোনো গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে বা অন্য কোনো গ্যালাকটিক ঘটনার ফল।
মূল বিষয় হলো:
* কৃষ্ণগহ্বরের নাম: RBH-1 (Rapidly Moving Black Hole 1)।
* গতিবেগ: সেকেন্ডে ৯৫৪ কিলোমিটার (প্রায় ২১,৩০,০০০ কিমি/ঘণ্টা)।
* ভর: সূর্যের ভরের চেয়ে প্রায় এক কোটি গুণ বেশি।
* আবিষ্কার: নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, বিজ্ঞানীরা এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।
* অভিমুখ: এটি মহাকাশে একটি নির্দিষ্ট দিকে ছুটে চলেছে, যা এর প্রচণ্ড গতির কারণে ঘটছে, সম্ভবত এটি কোনো গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে বা অন্য কোনো গ্যালাকটিক ঘটনার কারণে এত দ্রুত গতি পেয়েছে।
বিজ্ঞানীরা এই কৃষ্ণগহ্বরটিকে পর্যবেক্ষণ করছেন কারণ এটি এত দ্রুত গতিতে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের দ্রুতগামী কৃষ্ণগহ্বর সাধারণত গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে যখন দুটি গ্যালাক্সি একে অপরের সাথে মিশে যায় এবং এর ফলে কৃষ্ণগহ্বরগুলো একে অপরকে ধাক্কা দেয় বা ছিটকে বেরিয়ে যায়।
RBH-1 এর এই অস্বাভাবিক গতি ও অভিমুখ প্রমাণ করে যে মহাকাশে এমন অনেক রহস্যময় ঘটনা ঘটছে, যা বিজ্ঞানীরা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেননি।
এই বিপুল ভরের কৃষ্ণগহ্বর কী ভাবে নিজের ছায়াপথ থেকে বেরিয়ে গেল, কী পরিমাণ প্রবল শক্তির ধাক্কা তাকে খেতে হয়েছে, তা-ই বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, অভূতপূর্ব কোনও মহাকর্ষীয় ধাক্কা খেয়েছে আরবিএইচ-১। এই ধাক্কার উৎস নিয়ে আলোচনা চলছে। রহস্য লুকিয়ে আছে সেখানেই। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, একাধিক সুবিশাল কৃষ্ণগহ্বরের একত্রীভবনের ফলে যে মহাকর্ষীয় সঙ্কোচন (গ্র্যাভিটেশনাল রিকয়েল) তৈরি হয়েছিল, তা-ই আরবিএইচ-১কে তার ছায়াপথ থেকে ঠেলে বার করে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে কৃষ্ণগহ্বর সংক্রান্ত এই তত্ত্বের সমর্থনে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই প্রথম কোনও ধাবমান কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাশূন্যে এমন আরও অনেক কৃষ্ণগহ্বর অদৃশ্য হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে।