জাঙ্ক ফুড ছেড়ে কী ধরনের খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকবে? জেনে নিন ম্যাজিকাল কিছু খাবারের নাম
সবাই সুস্থ জীবন কামনা করে। আর সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর। আমরা প্রায় সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা ভাবি, কিন্তু কখনোই তা বাস্তবায়ন করতে পারি না। কারণ, আমাদের অজান্তেই জাঙ্ক ফুড আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে খাওয়া থেকে এখন নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই জাঙ্ক ফুড বেশি খাওয়ার ফলে আমরা নানা রকমের অসুস্থতায় ভুগছি। জাঙ্ক ফুড না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য কী করতে হবে জেনে নেওয়া যাক।
১. গবেষণা করুন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য কোনও বিশেষ উপায় নেই। আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে গবেষণা শুরু করতে হবে। খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে পড়াশোনা করলে আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে পারবেন। মুদিখানার জিনিসপত্র এবং খাবার সাবধানে কেনাকাটা করুন। খাবারের পুষ্টির লেবেল পড়ুন, এতে আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন তা বুঝতে পারবেন। স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর, যে কোনও খাবারে কত ক্যালোরি এবং পুষ্টিগুণ আছে তা জেনে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন: অনেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান কিন্তু কীভাবে খাবেন তা জানেন না। কখন কী খাবেন তাও জানেন না। তাই পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা ভালো। একজন সার্টিফাইড পুষ্টিবিদ বা ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বললে আপনার স্পষ্ট ধারণা হবে। আপনার পুষ্টিবিদ আপনাকে অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবারের তালিকা, পুষ্টির প্রোফাইল এবং আপনার পছন্দের রান্নার স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার সম্পর্কে জানাতে পারবেন।
৩. পূর্ব পরিকল্পনা করুন: অনেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হন কারণ তাদের পছন্দের খাবারের বিকল্প খাবারের অভাব। যেমন, যদি কেউ প্রতিদিন রাতের খাবারে চাইনিজ টেকআউট খাওয়ার অভ্যস্ত হন, তাহলে প্রতিদিন সালাদ খাওয়ার কথা ভাবতে পারবেন না। পরিবর্তে, আপনি চাইনিজ ফ্রাইড রাইসের বিকল্প হিসেবে মুরগির মাংস এবং বাদামি ভাতের মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। কম মশলাযুক্ত সবজি এবং প্রোটিন বেশি খাবার বেছে নিন।
৪. বাদাম রাখুন: আমাদের আশেপাশে স্বাস্থ্যকর খাবার থাকলে আমরা জাঙ্ক ফুডের দিকে ঝুঁকব না। যতটা সম্ভব, আপনার আশেপাশে বাদাম, শুকনো ফলের মতো সহজে খাওয়া যায় এমন খাবার রাখুন। এগুলো কাছে থাকলে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে।
৫. ধৈর্য ধরুন: ফুলকপি, ব্রোকলি, সবুজ মটর, পালং শাক, গাজরের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের স্বাদে অভ্যস্ত হতে আপনার মস্তিষ্কের কিছুটা সময় লাগবে। কিছুদিন ধরে নিয়মিত এই খাবারগুলো খেলে আপনার স্বাদকোরক অভ্যস্ত হয়ে যাবে। আপনি এই খাবারগুলো পছন্দও করতে শুরু করবেন। মাঝেমধ্যে পিৎজা বা চিজি বার্গার খেতে পারেন। এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত রাখতে সাহায্য করবে। নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি অবশ্যই জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে পারবেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার খাদ্যাভ্যাসের অংশ হয়ে উঠবে।