
আধুনিক জীবনযাপনের জাঁতাকলে পড়ে রোগভোগে নাজেহাল হচ্ছেন কমবয়সিরাও। যার জন্য মুঠো মুঠো ওষুধের ওপর ভরসা করলে আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং কিছু ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করতে দেখতে পারেন। আমাদের হাতের কাছে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যেমন লবঙ্গ গ্যাস-অম্বল কমায়, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর মশলা, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
লবঙ্গের জল মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে ফ্যাট বার্ন হয় বলে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের জল লিভারকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ডিটক্সিফাইং গুণ লিভারে জমে থাকা ময়লা ও টক্সিন দূর করতে সহায়ক। এই কারণেই এটিকে প্রাকৃতিক লিভার ক্লিনজার বলা হয়।শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে লবঙ্গ দারুণ কার্যকরী।
* হজমশক্তি বৃদ্ধি: লবঙ্গ হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং খাবার দ্রুত হজম হতে সহায়তা করে, ফলে গ্যাস, অম্বল ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমে।
* মুখের দুর্গন্ধ দূর করা: এটি একটি প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে। লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং মুখ সতেজ থাকে।
* দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির সমস্যা: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমায়, যা দাঁতের ব্যথা, মাড়ি ফোলা, রক্তপাত এবং দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: লবঙ্গ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* ওজন কমাতে সাহায্য: লবঙ্গ ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়, যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবে এটি হজম উন্নত করে পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে পারে।
* লবঙ্গ ব্যবহারের উপায়: সকালে খালি পেটে লবঙ্গ: রাতে এক গ্লাস জলে দুটো লবঙ্গ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেই জল পান করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
* মুখে চিবিয়ে খাওয়া: মুখের দুর্গন্ধ বা মাড়ির সমস্যা হলে কয়েক টুকরো লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।