বলিরেখা ঢাকতে পার্লারে দিয়ে নানারকমের ট্রিটমেন্ট করলেও তা যেন সম্পূর্ণ দূর করা যায় না। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এই বলিরেখার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বক নিয়ে আমরা প্রত্যেকেই নাজেহাল। কোনও না সমস্যা যেন আমাদের লেগেই রয়েছে। ত্বক অনেক ধরনের হয়। কারোর রুক্ষ্ম, তো কারেরা তৈলাক্ত। আজ নিজের ত্বকের ধরণ না জেনেই আমরা বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে থাকি। আর এই কারণেই ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা বেড়ে যায় আর ত্বকের জেল্লাও কমে যায়। ত্বকের সেই পুরোনো জেল্লা ফিরিয়ে আসতে মাথায় রাখুন কিছু টিপস।
ত্বকের সমস্যা নিয়ে প্রত্যেকেই নাজেহাল। শীতকালে এই সমস্যা যেন আরও বেড়ে যায়। বছর ৩০ পেরোলেই ত্বকের শিথিলতা কমতে শুরু করে। অকালেই বলিরেখা যেন ত্বককে আর বুড়িটে করে দেয়। বয়স বাড়ার আগেই বলিরেখার চেহারাকে বয়সের তুলনায় বেশি দেখায়। বলিরেখা ঢাকতে পার্লারে দিয়ে নানারকমের ট্রিটমেন্ট করলেও তা যেন সম্পূর্ণ দূর করা যায় না। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এই বলিরেখার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতকাল আসা মানেই বাজারে বিট-গাজরে ঠাসা। স্যালাড থেকে শুরু করে নানা রকমের তরি-তরকারিতে বিট-গাজরের ব্যবহার করা হয়। কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, বিটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ত্বকের জন্য কার্যকরী। বলিরেখা কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর এই সব্জি। বিটের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও আয়রন থাকে। রক্তে শর্করার পরিমান বেশি থাকলে বিট না খাওয়াই ভাল। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিট রাখুন। শরীরে আয়রনের ঘাটতিতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমতে শুরু করে। যা থেকে দেখা দেবে বলিরেখা। বিটের মধ্যে ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েড থাকে। বিটের মধ্যে লুয়েটিন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। বিটে ভিটামিস সি রয়েছে যা কোলজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ায়। ত্বক টানটান রাখতে বিট সাহায্য করে। শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত পরিবহনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ আয়রণ। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকেই উঠেই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন। এর ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ বেশি ব্যবাহার করবেন না। নিজের ত্বকের গঠন বুঝে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে এসে অবশ্যই হাত, পা ভাল করে ধুয়ে নিন। বাইরের ধুলো, বালি, ময়লা ত্বকের ক্ষতি করে। রোদে বেরোনোর সময় অবশ্যই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বেরান। কড়া রোদে সানক্রিন না লাগিয়ে বেরোলে ত্বকের ক্ষতি হবে। এমনকী মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন মেখে বেরোবেন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। জল শরীর থেকে অনেক দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।