
পুজোর জন্য নিজেদের সাজ তো হবেই। তার সঙ্গে আপনার থাকার জায়গাটিকেও যাতে সুন্দর ও পরিপাটিভাবে রাখা যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এটি একটি ইতিবাচক ও উৎসবের আমেজ তৈরি করে, যার ফলে বাড়ির সদস্যদের মনও সতেজ থাকে। কীভাবে সাজাবেন?
১। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাতিল: প্রথমেই ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাতিল করুন। অনেক সময় বাচ্চাদের খেলনা মেঝেতে পড়ে থাকে। এগুলো স্মৃতি হিসেবে রাখতে না চাইলে কাউকে দিয়ে দিতে পারেন বা ফেলে দিন।
২। ঘরের রং : ম্যাজিকের মতো ঘরের ভোলবদল করতে চাইলে ড্রয়িং রুং বা যে কোনও ঘরের একটা দেওয়াল শুধু রং করে দিন। বাজার চলতি অনেক প্যাটার্ন পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে এনে নিজেই ট্রাই করতে পারেন।
৩। পর্দার ব্যবহার: ঘরের রং হালকা হলে একটু রং-চঙে পর্দা লাগিয়ে দিন এইসময়ে। তাহলে একঘেয়ে ঘরের সাজে নতুনত্ব আসবে। জুটের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। নানা রঙের পাটদড়ি পাওয়া যায়, সেগুলোও ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
৪। ঘর সাজাতে কার্পেট: ঘর সাজাতে কার্পেট, পাপোসও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বড় ঘর হলে সেখানে দিব্যি জমকালো একটা কার্পেট মানিয়ে যাবে।
৫। ইন্ডোর প্ল্যান্ট: আপনি গাছ ভালোবাসলে, পুজোর আগে বেশ কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট কিনে আনুন।
এছাড়া রকমারি কালারফুল, প্যাটার্নের টব এবং স্ট্যান্ড দিয়ে ঘরজুড়ে সাজিয়ে ফেলুন। দেখবেন গোটা বাড়িতেই বেশ একটা পজিটিভ এনার্জি এসে গিয়েছে।
ঘর সাজানোর টুকিটা কি জিনিস:
বাড়ি মানে তো শুধু আসবাব, মেঝে, দেওয়ালের সমষ্টি নয়, বাড়ির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন তাকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা। আর এখানেই আসে ‘ডেকর আইটেম’-এর কথা। ঘর সাজানোর জন্য এখন সেরামিক ও চিনেমাটির হরেক জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেরামিকের চায়ের কাপ ও প্লেটও হয়ে উঠতে পারে অন্দরসাজের সামগ্রী। হালকা রঙের দেওয়ালের প্রেক্ষিতে গাঢ় রং ভাল লাগবে। দেওয়ালের কোনও তাক বা শো-কেসে সাজিয়ে রাখতে পারেন সেরামিকের কাপ-ডিশ। অল্প খরচেই হয়ে যাবে বসার ঘরের সাজ। চিনেমাটির তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসের বিপুল সম্ভার এখন শহরের দোকানে দোকানে। বাসনপত্র থেকে শুরু করে ফুলের টব, দেওয়া সাজানোর সামগ্রী, ফুলদানি, কারুকাজ করা মূর্তি, আরও কত কী! অন্দরসজ্জায় শৈল্পিক স্পর্শ আনতে চাইলে চিনেমাটির কাপ, প্লেট, ট্রে, টব দিয়ে সাজাতে পারেন ঘর।