সান্তা ক্লজের আসল নাম কী? জানেন তার জামার রং লাল কেন! রইল সান্তা বুড়োকে নিয়ে অজানা তথ্য
বড়দিন মানেই সাদা দাড়ি, সাদা চুলের এক হাসিখুশি বুড়ো, যে উপহারে ভরিয়ে দেয় বাচ্চাদের। কিন্তু আপনি কি জানেন কে এই সান্তা ক্লজ, তাঁর আসল নাম কী বা কোথায় থাকতেন তিনি! চলুন জেনে নিই ক্রিসমাস আর সান্তা ক্লজ নিয়ে খুঁটিনাটি সব কিছু।
বড়দিনের উত্সব সারা বিশ্বে অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। এই দিনটির জন্য অনেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। লোকেরা 'সান্তা ক্লজ' হয়ে একে অপরকে গোপন উপহার দেয়। কিন্তু কে এই সান্তা ক্লজ! কোথায় থাকেন তিনি! এবার জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে খুঁটিনাটি নানা তথ্য।
ক্রিসমাসের দিনে 'সান্তা ক্লজ' সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এক মানুষ। অনেকে 'সান্তা ক্লজ'-এর মতো পোশাক পরে ক্রিসমাস পার্টি মাতিয়ে তোলে। 'সান্তা ক্লজ'-তিনি মানুষকে উপহার দেন এবং আনন্দ ছড়িয়ে দেন। ‘সান্তা ক্লজ’ও এমনই ছিলেন, যিনি গোপনে লোকেদের যা প্রয়োজন তাই উপহার দিতেন।
বলা হয়ে থাকে যে চতুর্থ শতাব্দীতে, একজন গ্রীক বিশপ ছিলেন, সেন্ট নিকোলাস, যিনি লাল পোশাক পরতেন এবং দরিদ্র ও শিশুদের উপহার দিতেন। মনে করা হয় সান্টা ক্লজের আসল নাম হল সেন্ট নিকোলাস। বর্তমানে তুরস্কের অন্তর্গত মাইরায় চতুর্থ শতকে গ্রিক ক্রিশ্চিয়ার বিশপ ছিলেন তিনি।
দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে এই সেন্ট নিকোলাসই সান্টা ক্লজ নামে পরিচিত হন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। সেন্ট নিকোলাস অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন। মানুষের কষ্ট দেখে তার খুব খারাপ লাগত। এমতাবস্থায় তিনি গোপনে রাতের বেলা গরীব মানুষের বাড়ির সামনে উপহার রেখে যেতেন।
‘সান্তা ক্লজ’-এর সদয় ও উদার প্রকৃতিন নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়। এর পর লোকে তাকে সেন্ট বলতে শুরু করে। তার জীবনযাপন ছিল বেশ সরল। তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন। এখন অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে সান্তা কেন লাল জামা পরে, এর পিছনে রয়েছে একটি পুরনো গল্প।
সব সময় লাল পোশাকেই দেখা যায় সান্টা ক্লজকে। তবে আগে সান্টার পরনে সাদা পোশাক ছিল। প্রথম কোকাকোলার একটি বিজ্ঞাপন থেকেই সান্টার জামার রং লাল হয়ে যায় বলে অনেকের মত।
তবে এই তথ্যও পাওয়া যায় যে সেন্ট নিকোলাস ছদ্মবেশে বাচ্চাদের উপহার দেওয়ার সময় লাল পোশাক পরতেন। সেই কারণে সান্টার পরণেও লাল পোশাক।
সান্তা ক্লজ (সেন্ট নিকোলাস) কোন জাদুকর ছিলেন না। তিনি একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন, যিনি খুব দয়ালু ছিলেন। তিনি ২৮০ খ্রিস্টাব্দে তুর্কমেনিস্তানের মায়রা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কথিত আছে যে তিনি প্রভু যীশুর মৃত্যুর পর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
যদি আমরা সান্তা ক্লজ অর্থাৎ সেন্ট নিকোলাসের মৃত্যুর কথা বলি, তবে মনে করা হয়ে সেই তারিখ ছিল ৬ ডিসেম্বর ৩৪৩ সাল মাইরা শহরে। তাহলে এখন তার বয়স কত হল? সেই অনুসারে ২০২৩-এ তাঁর বয়স প্রায় ১৭৫২ বছর।
তাঁর কবর সম্পর্কেও রয়েছে বেশ কিছু তথ্য। বলা হয় সেটি নাকি আয়ারল্যান্ডে রয়েছে। কিন্তু সান্তা ক্লজের কবর সম্পর্কে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, তুরস্কের আন্টালিয়ায় গির্জার ভেতরে সেন্ট নিকোলাসের সমাধি রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যে সান্তা ক্লজের কবর তুরস্ক থেকে ফিরিয়ে এনে ইতালিতে সমাহিত করা হয়েছিল