
মধু এবং রসুন প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহার করা হয় এবং আমরা এই দুইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত, তবে এটি যদি একসাথে খাওয়া হয় তবে এর উপকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-বায়োটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যদিকে রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও ফাইবারের মতো উপাদান, যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মধু মাখানো রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এটি একটি সুপার ফুড যা অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে এবং শরীরকে ডিটক্স করে এবং সমস্ত ধরণের সংক্রমণও দূর করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি: সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে রসুন ও মধুর মিশ্রণ খুবই উপকারী। উভয়েরই এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। মধু এবং রসুনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গলা ব্যথার পাশাপাশি প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। \
হার্ট সুস্থ রাখে: রসুন ও মধু আপনার শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে, যা রক্ত সঞ্চালনের দিকে পরিচালিত করে। এই উভয় বৈশিষ্ট্য আছে যা হৃদয়ের ধমনীতে সঞ্চিত চর্বি অপসারণ করতে সাহায্য করে। যা আপনার হার্টকে সুস্থ রাখে।
পরিপাকতন্ত্রকে ফিট রাখে: রসুন ও মধু একসঙ্গে খেলে এমন উপাদান তৈরি হয়। যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে ফিট রাখে। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
দিনে কতটুকু খাবেন?
রাতে একটি কাচের বোতলে মধু রাখুন এবং এতে কিছু রসুনের কোয়া খোসা ছাড়ুন। এবার প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই শিশি থেকে এক থেকে দুটি রসুনের কোয়া নিয়ে খালি পেটে চিবিয়ে খান। আপনি চাইলে ব্রেকফাস্ট বা ডিনারের পরেও এটি খেতে পারেন। সকালে মধুতে ভেজানো একটি বা দুটি রসুনের কুঁড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।