
রজোনিবৃত্তি অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই উপেক্ষিত একটি হল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রজোনিবৃত্তি এবং হৃদরোগের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে।
রজোনিবৃত্তি একজন নারীর প্রজনন ক্ষমতার সমাপ্তিকে নির্দেশ করে। এই সময়ে সবচেয়ে গুরুতর কিন্তু অজানা ঝুঁকিগুলির মধ্যে একটি হল হৃদরোগ (CVD) এর ঝুঁকি বৃদ্ধি।
ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পেলে, এই হরমোন হৃদপিণ্ডকে যে সুরক্ষা প্রদান করে তা কমে যায়। এটি রজোনিবৃত্তির পর নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকিতে ফেলে। ৪৫-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে রজোনিবৃত্তি ঘটে। একজন মহিলার এক বছরের বেশি সময় ধরে পিরিয়ড না হলে এটি নির্ণয় করা হয়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা হ্রাস বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণ হয়।
রাতে ঘাম হওয়া, মেজাজ পরিবর্তন, ঘুমের সমস্যা, যোনিতে শুষ্কতা, অনিয়মিত পিরিয়ড হল রজোনিবৃত্তির লক্ষণ। রজোনিবৃত্তি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন অস্টিওপোরোসিস এবং হৃদরোগ।
কিছু নারীর ক্ষেত্রে রজোনিবৃত্তি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ রক্তনালী বজায় রাখা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইস্ট্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রজোনিবৃত্তির পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পেলে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি, এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) হ্রাস, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং ধমনী শক্ত হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই পরিবর্তনগুলি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রজোনিবৃত্তির পর নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বে হৃদরোগের সমস্যা থাকলে এবং রজোনিবৃত্তি হলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।