
অনেকে মনে করেন রান্না করা একটি ঝামেলার কাজ। কিন্তু তা মোটেও ঠিক নয়। এটি একটি শিল্প। ভালোবেসে রান্না করলেই খাবার সুস্বাদু হয়। তার জন্য এই পোস্টে কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে আপনার রান্নাকে আরও অসাধারণ করে তুলুন।
রান্নাঘরের টিপস:
১. ডাল দীর্ঘক্ষণ ভালো রাখতে, অড়হর ডাল সেদ্ধ করার সময় তার সাথে এক চামচ মেথি মিশিয়ে সেদ্ধ করুন।
২. এক মাস পর্যন্ত কাঁচা লঙ্কা ভালো রাখতে, একটি কাগজের ব্যাগে ছোট ছিদ্র করে তাতে লঙ্কা ভরে ফ্রিজে রাখুন।
৩. মাশরুম দীর্ঘ সময় তাজা রাখতে প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখবেন না। টিস্যু পেপারে মুড়ে ফ্রিজে রাখুন।
৪. বাড়িতে পিঠে তৈরির সময় কাঁচা গন্ধ এড়াতে, চাল প্রথমে ভেজে তারপর ভিজিয়ে ব্যবহার করুন।
৫. রাতে ভাত বেঁচে গেলে, তাতে জল দিয়ে রাখার সময় সামান্য নুন মিশিয়ে দিন। ভাত নষ্ট হবে না।
৬. সজনে ডাঁটা দ্রুত নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে, সেগুলোকে টুকরো করে কেটে একটি বাক্সে ভরে রাখুন।
৭. ধোসার ব্যাটার টক হয়ে গেলে তা ফেলে না দিয়ে, তাতে কুচানো পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, কারি পাতা এবং নারকেল মিশিয়ে ছোট বড়া বানিয়ে নিন। খেতে সুস্বাদু হবে।
৮. গমের আটা দিয়ে পরোটা তৈরির সময়, আটার সাথে এক চামচ জোয়ান মিশিয়ে মাখুন। এতে স্বাদ বাড়ার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করবে।
৯. পনির অনেকদিন ভালো রাখতে, এর উপর ভিনিগার মাখিয়ে সংরক্ষণ করুন।
১০. ফ্রিজে মাছ রাখার আগে, তাতে নুন, হলুদ গুঁড়ো এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে রাখুন। এতে মাছ নষ্ট হবে না এবং তাজা থাকবে।
১১. পুরির জন্য আটা মাখার সময়, তাতে অর্ধেক কাপ জল, পরিমাণমতো নুন, ১ চামচ সুজি এবং ঘি মিশিয়ে মাখুন। এতে দোকানের মতো ফোলা ফোলা পুরি তৈরি হবে।
১২. কড়াইতে এক মুঠো সজনে পাতা ঘিয়ে ভেজে ঠান্ডা করে নিন। তারপর একটি ছোট নারকেলের টুকরো দিয়ে বেটে ফুটন্ত ডালে মেশান, স্বাদ অসাধারণ হবে।
১৩. মুগ ডাল অর্ধেক সেদ্ধ করে চিঁড়ের পোলাও তৈরির সময় তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন। স্বাদ দুর্দান্ত হবে।
১৪. ধোসা তৈরির সময়, জিরা হাতে পিষে তার সাথে মিশিয়ে দিন। এতে খাবার সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত হবে।
১৫. কাঁচা টমেটো দ্রুত পাকাতে, সেগুলোকে একটি পাকা টমেটোর সাথে রাখুন। সব কাঁচা টমেটো পেকে যাবে।