
এখন যেকোনও মানুষই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগ ধরা পরা মাত্রই বহু খাবারা নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব কিছু খাবারের নাম-
কলা- কলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ফল। এতে পিউরিনের পরিমাণ খুবই কম রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যার কারণে কলার গুণাগুণ আরও বেড়েছে। রোজ কলা খেলে তা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমায়। এছাড়াও, কলায় আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা অনেক উপকার দেয়।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং কম চর্বিযুক্ত দই শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই দুটি খাবারই শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে খুবই উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে অবশ্যই কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং দই দুটি খাবারই রোজ খেতে হবে।
কফি- কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম যা শরীরের পিউরিন ভেঙে দেয়। এতে ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদনের হারও কমে যায়। এছাড়াও, কফি আপনার শরীর যে হারে ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণ করে তা বাড়ায়। কফি পানের আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
এ ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে আমলা, লেবু, কমলা, পেঁপে এবং আনারসের মতো সাইট্রাস ফল অবশ্যই খাওয়া যেতে পারে। এই সব ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, তাই এগুলি প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, সাইট্রাস ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
যতটা সম্ভব প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দ্রবণীয় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর জন্য ওটস, চেরি, আপেল, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, শসা, সেলারি, গাজর, বার্লি খাওয়া উচিত। আপনার খাদ্যতালিকায় দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান। সিরাম ইউরিক অ্যাসিড ঘনত্ব খাদ্যতালিকাগত ফাইবার গ্রহণ দ্বারা হ্রাস করা হয়।