
বিশ্বে মানুষ যে সমস্ত ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত তাদের মধ্যে মধ্যে ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় মুখের ক্যানসারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্তকরণ করা গেলে, রোগীকে সুস্থ করে তোলা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়। মুখের ক্যানসার প্রধানত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন, অতিরিক্ত মদ্যপান এসব কারণে হয়ে থাকলেও এচ্যাড়াও অন্য কিছু কারণ আছে যা মুখের ক্যান্সারে ভোগাতে পারে। যেমন জেনেটিক কোনো সমস্যা।
চিকিৎসক গৌতম বিশ্বাসের মতে, “কলকাতা, অসম এবং ওড়িশায় মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে বেশিরভাগ মানুষই আলসার বা খাওয়ার সময় মুখের কোনও অংশে জ্বালা বা ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন। পরবর্তীতে দেখা যায় এটিই ওরাল ক্যানসারে পরিণত হয়েছে। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপির প্রয়োজন পড়ে না। রেডিয়েশনের সাহায্যেই এই ‘ওরাল ক্যানসার’ নির্মূল করা সম্ভব।”
মুখের ক্যান্সার কেন হয়?
মুখে উপস্থিত কোষের DNA তে মিউটেশনের ফলে মুখে ক্যান্সার হয়। এই কোষগুলি, মিউটেশনের পর দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়, সুস্থ কোষগুলিকেও ক্ষতি করে তাড়াতাড়ি এবং শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অস্বাভাবিক কোষগুলি জমা হয়, তারা একটি টিউমারের আঁকার ধারণ করে , যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ক্যান্সারে পরিণত হয়।
মুখের ক্যান্সারের লক্ষণগুলি :
১. মুখের ঘা না সারা ২. লাগাতার মুখে রক্তক্ষরণ বা ঘা ৩. মুখের ভেতরে চারপাশে কোনো মোটা পিণ্ড গড়ে ওঠা ৪. দাঁত এবং মাড়ি আলগা হয়ে যাওয়া ৫. মাড়ি থেকে রক্তপাত ৬. জিভ ফুলে ব্যথা হওয়া ৭. চোয়াল ব্যথা বা চোয়াল শক্ত হয়ে যাওয়া, চিবোতে অসুবিধা ৮. গলায় পিণ্ডের মতো তৈরী হওয়ায় গিলতে কষ্ট ৯. সাদা, লাল এবং সাদা, অথবা আপনার মুখে বা ঠোঁটে লাল দাগ
সারাংশ ধূমপান ছাড়াও হতে পারে মুখের ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্তকরণ করা গেলে, রোগীকে সুস্থ করে তোলা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়।