
জীবনে সফলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। তাই কিশোর বয়সেই শৃঙ্খল যাপনের সঠিক অভ্যাসের বীজ রোপন পরবর্তী জীবনে সাফল্য অর্জন কর সহজ করে তোলে। কাজেই পড়াশোনা, সাথে পর্যাপ্ত ঘুম-খাওয়া, পরিকল্পিত ও আত্মনির্ধারিত লক্ষ্য -সবকিছুই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
১। অগোছালো জীবন নয়, চাই পরিকল্পিত রুটিন
অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা ঘর, ডেস্ক, জামাকাপড় বা বইপত্র অগোছালো রেখে দেয়। এই অগোছালো পরিবেশ মনকে অস্থির করে তোলে। গোছানো পরিবেশে কাজের মনোযোগ বাড়ে, মনে ফোকাস তৈরি হয়, স্ট্রেস কমে। প্রতিদিন রুটিন তৈরি করে চলা অভ্যাস করলে শুধু পড়াশোনাই নয়, জীবনও সহজ হয়ে যায়।
তাই প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় লেখাপড়া ও বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত রাখুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরের দিনের পরিকল্পনা করে রাখুন।
২। লক্ষ্যহীনতা নয়
কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া সময় কাটানো মানে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করা। যে কোনও বড় সাফল্যের পিছনে ছোট ছোট লক্ষ্যের ধাপ থাকে। তাই স্কুল জীবন থেকেই নিজের লক্ষ্য ঠিক করে রাখা জরুরি, সেটা পরীক্ষায় ভালো ফল করা হোক বা নতুন কিছু শেখা হোক। আপনার লক্ষ্য ঠিক থাকলে আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতাও বাড়বে।
পড়াশোনার জন্য ছোট ছোট টার্গেট তৈরি করুন, যেমন- নির্দিষ্ট কোনো সময়ের মধ্যে একটি অধ্যায় শেষ করা। নিজের আগ্রহ ও দক্ষতা বুঝে ভবিষ্যতের বিষয়ে ভাবনা শুরু করুন।
৩। ঘুমকে অবহেলা নয়
অনেকেই মনে করেন কম ঘুমিয়ে বেশি পড়লেই বুঝি হবে, কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না, ফলে মনোযোগ ও স্মরণশক্তি কমে যায়। ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম প্রতিদিন বাধ্যতামূলক।
মোবাইল বা স্ক্রিন টাইম কমিয়ে ঘুমের সময় বাড়ান। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া, এমনকি biological clock অনুসারে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।