বর্ষাকাল পোকামাকড়, ফাঙ্গাসের আতুরঘর। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে উপদ্রব বাড়ে এদের। ঘর থেকে ছড়িয়ে পড়ে রান্নাঘরেও। নষ্ট করে সংরক্ষিত আনাজ। চাল ডাল ধুলেই পোকা বেরিয়ে আসে, তবে আটা-ময়দা? কী উপায়ে পোকা মুক্ত রাখা যায়? বর্ষাকালে কীভাবেই বা সংরক্ষণ করা যাবে আটা-ময়দা?
বর্ষাকালে কেন হয় পোকামাকড়?
বর্ষাকালে আর্দ্র পরিবেশে স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে আটা ও ময়দা। যেখানে পোকা বেড়ে ওঠা সবচেয়ে সহজ। এতে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে সংরক্ষিত আটা-ময়দা।
পোকার উপদ্রব বাড়লে কী হতে পারে?
নষ্ট আটা, ময়দায় ছত্রাক, পোকামাকড় বলো লার্ভা জন্মাতে পারে। নষ্ট আটা ময়দা থেকে ড্যাম্প পড়া বা পচা গোন্দ বের হতে পারে, রং কিছুটা কালচে বা হলুদও হয়ে যেতে পারে, যা খাওয়া একেবারেই উচিত হবে না। আটা বা ময়দা ছেঁকে খেলেও ছত্রাক বা পোকামাকড়ের অংশ বিশেষ থেকেই যায়, যা খেলে পেটে ব্যাথা, গ্যাস, খাবারে বিষক্রিয়া বা হজমের সমস্যা হতে পারে।
সমস্যা থেকে বাঁচতে কী করণীয়?
১। অল্প পরিমানে কিনুন
যতটা প্রয়োজন ততটাই কিনুন। বেশি পরিমানে গম বা আটা-ময়দা কিনলে তা সংরক্ষণ করার ঝক্কি থাকবে, বর্ষাকালে তাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হবেই।
২। বায়ুনিরোধক কৌটোয় রাখুন
হাওয়া বা আর্দ্রতা ঢুকলেই আটা, ময়দায় ছত্রাক হওয়ার সম্ভাবনা হবে। তাই বায়ুনিরোধক কৌটো বা কাচের বয়াম ব্যবহার করুন। প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর কৌটো খালি করে, ধুয়ে, শুকিয়ে আবার ভরুন। ১৫-২০ দিনে না হলে অন্তত মাসে মাসে পরিষ্কার করুন কৌটো।
৩। প্রাকৃতিক কীটনাশক টোটকা ব্যবহার
আটা-ময়দা যেখানে সংরক্ষণ করে রাখেন, সেখানে নিমপাতা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা বা রসুনের কোয়া রাখতে পারেন। পোকামাকড় দূরে থাকবে।
৪। ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন
স্যাঁতসেঁতে জায়গায় রাখবেন না না আটা ময়দা। যেখানে আটা, ময়দার কৌটো বা বয়াম রাখেন সেখানে জল যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কোনো কাঠের তক্তা বা প্লাস্টিক বিছিয়ে রাখুন। এতে আর্দ্রতা আটা ময়দা পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না।
৫। শুকনো চামচ ব্যবহার
আটা বা ময়দা তোলার জন্য শুকনো চামচই ব্যাবহার করুন, নাহলে কৌটোর ভেতরেও আর্দ্রভাব ঢুকে যাবে।
৬। নতুন ও পুরোনো মেশানো নয়
পুরোনো আটা কিছুটা রয়ে গেছে বলে নতুন আটার সাথে মিশিয়ে নিলেন, এমনটা করবেন না। পুরোনো আটা শেষ করে বা আলাদা রেখে নিন, নতুন কৌটো ভালোকরে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তবেই নতুন আটা ভরবেন।