
Perfumes Tips: বর্তমানে দেশীয় বাজারে আন্তর্জাতিক মানের সুগন্ধি অনেকটাই সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। আগে যেখানে বিদেশি নামী ব্র্যান্ডের সুগন্ধি অর্ডার করে আনাতে হত, এখন অনেক দেশীয় প্রতিষ্ঠানই বিদেশী সুগন্ধি সাথে দেশীয় উচ্চমানের পারফিউম তৈরি করছে, জনপ্রিয়ও হচ্ছে।
তবে, পাল্লা দিয়ে বাজারে নকল সুগন্ধিও ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময়েই সতর্ক না হলে জাল সুগন্ধি কেনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অথচ, আসল এবং নকল সুগন্ধির মধ্যে পার্থক্য চেনা মুশকিল।
খাঁটি এবং নকল সুগন্ধির মধ্যে পার্থক্য চিনতে কিছু সহজ লক্ষণ-
১) মোড়ক পরীক্ষা করুন
আসল সুগন্ধির মোড়ক থাকে নিখুঁত এবং নিপুণভাবে তৈরি। ব্র্যান্ড লোগো স্পষ্ট থাকে এবং ছাপার গুণমান থাকে উন্নত। যদি মোড়ক হালকা বা ঝাপসা অক্ষরযুক্ত হয়, অথবা সিল ভাঙা থাকে – তাহলে সেটা নকল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
২) বারকোড ও ব্যাচ নম্বর
প্রতিটি আসল সুগন্ধির বোতলে নির্দিষ্ট বারকোড এবং ব্যাচ নম্বর থাকে। এই নম্বর থেকে উৎপাদন ও বৈধতার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। নকল সুগন্ধির ক্ষেত্রে এই বারকোড হয় অস্পষ্ট বা ভুলভাবে প্রিন্ট করা থাকে।
৩) বোতলের নকশা
নামী কোম্পানির সুগন্ধির বোতল হয় ঘন, ওজনদার এবং নিখুঁত ফিনিশিংযুক্ত। শিশির গঠন ও লোগোতে সূক্ষ্মতা থাকে। ইন্টারনেটে ছবির সাথে মিলিয়ে বোতল যাচাই করা যেতে পারে। যদি গঠনশৈলীতে অমিল থাকে, তাহলে সেটা আসল নয়।
৪) গন্ধ ও ত্বকে প্রতিক্রিয়া
খাঁটি সুগন্ধিতে একাধিক গন্ধের স্তর থাকে – টপ, মিডল ও বেস নোট। গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী এবং মনোরম হয়। নকল সুগন্ধিতে রাসায়নিকের গন্ধ তীব্র এবং কখনও কখনও ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি তৈরি করে।
৫) দাম
আসল সুগন্ধি সাধারণত ব্যয়বহুল হয়। যদি কোনও নামী ব্র্যান্ডের সুগন্ধি বাজারমূল্যের অনেক কম দামে বিক্রি হয়, যেমন ধরুন আসলে সেই সুগন্ধির দাম হাজার তিনেক, অথকেজো ৩০০-৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে কোথাও, তাহলে তা নকল হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।