
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে। স্থূলতা বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। স্থূলতা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আমাদের জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এই মশলাগুলি ব্যবহার করে দেখুন।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের ওজন এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরের বিপাক বৃদ্ধি করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের চর্বিযুক্ত কোষগুলি ধ্বংস করে। হলুদ গুঁড়ো গরম জলে, লেবুর জলে বা দুধে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
জিরা
মহিলাদের স্থূলতা প্রতিরোধে জিরা খুবই কার্যকর। খাবারের সাথে ব্যবহার করাই ভালো। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। জিরা গুঁড়ো করে দইয়ের সাথে খাওয়া যেতে পারে। অথবা জলে বা চায়ে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আদা
এটি আপনার শরীরের বিপাক বৃদ্ধি করে এবং খাদ্যনালী দিয়ে খাবার দ্রুত সরাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্ষুধা রোধ করে। আদার তেল শরীরে মাখলে চর্বি কমে। চা, জল বা ক্যাপসুল আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দারচিনি
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে দারচিনি। অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মহিলাদের স্থূলতা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন খাবারে ব্যবহার করলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গোলমরিচ
ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত আরেকটি মশলা হল গোলমরিচ। এতে থাকা পাইপারিন নামক যৌগ শরীরের বিপাক বৃদ্ধি করে এবং চর্বি জমা রোধ করে। অল্প খেলেও অনেক খাওয়ার মতো অনুভূতি হয় গোলমরিচ মেশানো খাবারে। এটি আপনার হজমশক্তিও বাড়ায়। খাবারের সাথে, চা তৈরির সময়, সবজির স্যুপ তৈরির সময় গোলমরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
সরিষা
ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থ থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সরিষা। কম ক্যালোরিযুক্ত হওয়ায় এটি আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিপাক বৃদ্ধি করে এবং চর্বি কমায়। অতিরিক্ত ক্ষুধা রোধেও সাহায্য করে। খাবারের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেথি
শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে মেথি। অতিরিক্ত ক্ষুধা রোধ করে। এটি জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া বা পান করা যেতে পারে। তেতো স্বাদের হলেও মেথির অনেক গুণ রয়েছে।