অন্য বছরগুলোর মতন এই বছরের ঈদের উৎসব যে নয়, তা আর বলার বাকি রাখে না। করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনের ফলে এই বছর ঘরবন্দিতেই পালন করতে হবে ঈদ-অল-ফিতর। পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, এই পবিত্র চাঁদ দেখা। এক মাস ধরে বিশ্বের এই বৃহৎ মুসলিম সম্প্রদায় ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি উপবাস করেন। কেবল পূর্ব-সেহরি ও দ্রুত ইফতারের খাবার গ্রহণ করেন। তারা দরিদ্রদের খাওয়ানো এবং দুঃস্থদের দান দেওয়ার মতো সেবামূলক কাজও করেন। ঈদ উল ফিতর উদযাপনের সঙ্গে রোযা ও নামাজের কালের সমাপ্তি ঘটে। বিশ্বজুড়ে, মুসলিম সম্প্রদায় এই উত্সবটি আনন্দের সঙ্গে পরিবার ও প্রিয়জনের সঙ্গে উদযাপিত করেন।
তবে এই উৎসবের সূচণা হয় চাঁদ দেখার ও তার সময়ের উপর নির্ভর করে। একেক দেশে এক এক সময়ে চাঁদ দেখা হয়। সেই মত সেই দেশে পালিত হয় ঈদ-অল-ফিতর। আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবং একবার অর্ধচন্দ্রাকর্ষণ দেখা গেলে, তার পরের দিনটি হবে শাওয়ালের প্রথম দিন। এই কমিটি ২২ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে শনিবার পবিত্র ঈদের উৎসবে মেতে উঠেছে।
তবে এই বছর ভারতে উত্সবটি ২৩ মে শনিবার চাঁদ দর্শণ করে ২৪ মে রবিবার ঈদ পালনের কথা ছিল। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, মানুষ পরিষ্কার আকাশের জন্য আকাঙ্ক্ষা করছে, কারণ চাঁদ দেখার ইঙ্গিত দেয় যে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্সব শুরু হয়েছে। তবে এই বছর মহামারির কারণে নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই এই বছর এই উৎসব উদযাপন একেবারেই আলাদা। ভারতের কেরল এবং লাদাকে গতকাল ঈদ পালিত হয়েছে। দেশের বাকি অংশে আজই পালিত হচ্ছে খুশির ঈদ।