করোনা রুখতে দেশে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনের মধ্যে অনেকেই হয়তো অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এর আগে দম্পতিরা আগে কখনও এতটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন কিনা তা হয়তো অনেকেরই মনে পড়বে না। বিশেষ করে গর্ভবতী, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের এই সময়টাতে অনেকে বেশি সচেতন থাকতে হবে। আর এই সময়টাতে করোনা মোকাবিলায় সকলকেই সচেতন হতে হবে। তবে অতিরিক্ত চিন্তা না করে লোকের ভুয়ো কথায় কান না দিয়ে নিজের বাড়িতে সাবধানতা অবলম্বন করলেই মিলবে সমস্যা থেকে মুক্তি।
আরও পড়ুন-সবুজ রঙা কুসুমের ডিম পারছে মুরগিরা, তাজ্জব খামার মালিক থেকে বিশেষজ্ঞরা...
হবু মায়েদের বিশেষ সতর্কতা
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। অযথা ভয় না পেয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। দরকার ছাড়া এই সময়টাই বাইরে না বেরোনোও ভাল।
ডাক্তারের কাছে গেলে বা দরকারে বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পরে বেরোবেন। ডাক্তারের কাছে গিয়েই সামাজির দূরত্ব বজায় রাখুন। বাড়ি ফিরেও স্যানিটাইজ করে নিন ভাল করে।
ব্যাগ থেকে মাস্ক যাবতীয় জিনিস ধুয়ে নিন। এছাড়াও মোবাইল অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিন।
হবু মায়েদের গর্ভাবস্থার সময় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়। কারণ প্রথম তিনমাস বাড়তি সতকর্তা নেওয়া অবশ্যই দরকার।
এই সময়টাতে ফলিক অ্যাসিড, অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস খেতে একদম ভুললে চলবে না। প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।
খাওয়ার আগে ও পরে ভাল করে হাত ধুয়ে নেবেন। বারবার চোখে , মুখে হাত দেবেন না। কারোর যদি সর্দি-কাশি হয় তাহলে তার ধারে কাছে যাওয়া একদমই চলবে না।
হবু মাকে একপ্রকার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকাটাই ভাল।
বাড়ির বাইরে বেরানোর সময় আংটি, ঘড়ি, এসব না পরাই ভাল। কারণ এগুলি থেকেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস।
আরও পড়ুন-লকডাউনে জারি নয়া নির্দেশিকা, উবের চড়লেই মানতে হবে এই বিশেষ নিয়ম...
অন্যান্যদের থেকে অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিনের পোশাক সাবান দিয়ে কেচে ডেটল জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
গর্ভধারণের আগে যতটা পারবেন ওজন কমিয়ে নিন। তাই আগে থেকেই ডায়েটেশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নিন। কিন্তু গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার পর কখনওই ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। প্রতি সপ্তাহে ওজন পরীক্ষা করে নিন।
করোনা আতঙ্কে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়াটাই শরীরের জন্য ভাল। আতঙ্ক থেকে মানসিক অবসাদ আসতে পারে, যা সন্তান এবং মায়ের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মন ভাল রাখতে টিভি দেখুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন প্রয়োজনে ফোনে কথা বলুন। যদি গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে তাহলে অবসর সময়ে সেটাও করতে পারেন। এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সাবধানতা অবলম্বন করুন।