২০১৫-২০১৬ সালে ওড়িশায় ১৫ বছরের উর্ধ্বে মদ্যপায়ী মহিলার সংখ্যা ছিল ২.৪ শতাংশ। সেই সংখ্যাটাই ২০২০-২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশ।
যুগ বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে জীবনযাপন পদ্ধতিও। একটা সময় ছিল যখন চার দেওয়ালের গণ্ডিতেই আবদ্ধ ছিল নারী জীবন(Women Life)। তবে এখন মহিলারাও স্বপ্ন দেখতে শিখেছেন। যুগের উন্নতির সঙ্গে বেশ ভালোই রপ্ত করেছে মর্ডান লাইফস্টাইলও(Lifestyle)। অফিস পার্টি হোক বা গেট টুগেদার,হাতে সুরার গ্লাস নিয়ে তারাও বলতে শিখেছে "চিয়ার্স"। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের পঞ্চম পর্বের সমীক্ষায়(5th NFHS)উঠে আসা তথ্য থেকে দেখা গেছে গত পাঁচ বছরে(Last 5 Years) ওড়িশায়(Odisha) পুরুষ মদ্যপানকারীদের সংখ্যা বেশ অনেকটা কমেছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে মহিলা মদ্যপানকারীদের সংখ্যা। সমীক্ষা অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ওড়িশায় মহিলা মদ্যপানকারীর সংখ্যা(Number Of Female Alcoholics Has Doubled)।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-২০১৬ সালে ওড়িশায় ১৫ বছরের উর্ধ্বে মদ্যপানকারী মহিলার সংখ্যা ছিল ২.৪ শতাংশ। সেই সংখ্যাটাই ২০২০-২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে ওড়িশায় অনেকটাই কমেছে পুরুষ সুরাপ্রেমীর সংখ্যা।২০১৫-২০১৬ সালে ওড়িশায় ৩৯.৩ শতাংশ পুরুষ মদ্যপান করতেন। সেই সংখ্যা কমে ২০২০-২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ২৮.৮ শতাংশ। একটা প্রথাগত ধারণা হয়েছে শহরের তুলনায় গ্রাম্য জীবনযাত্রার মান অনেকটাই নীচে। কিন্তু সরকারী সমীক্ষা তো সেই কথা বলছে না। বরং দেখা যাচ্ছে একেবারে উল্টো দৃশ্য। ওড়িশায় গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা শহরের পুরুষ ও মহিলাদের থেকে অনেকে বেশি পরিমাণে সুরাপ্রেমী। সমীক্ষার হিসেব অনুযায়ী, শহরে যেখানে ২২.৭ শতাংশ পুরুষ মদ্যপান করে, সেখানে গ্রামে ৩০.২ শতাংশ সুরাপ্রেমী পুরুষ রয়েছে। অন্যদিকে শহরে যেখানে মাত্র মহিলা সুরাপ্রেমী ১.৪ শতাংশ সেখানে গ্রামে ৪.৯ শতাংশ মহিলা সুরাপ্রেমী।
আরও পড়ুন-NFHS-NFHS-র পঞ্চম পর্বের সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ,পুরুষের তুলনায় মহিলাদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের সংখ্যা কম
আরও পড়ুন-'ড্রাই স্টেট' হয়েও মদ্যপানে মহারাষ্ট্রকে টেক্কা দিল বিহার, চমকে দিল জাতীয় সমীক্ষা
আরও পড়ুন-Liquor-সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর,রাজ্য সরকারের অনলাইন পোর্টাল থেকেই জানা যাবে সুরার দাম,জেনে নিন কিভাবে
সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে ওড়িশায় গ্রামীণ মহিলাদের মদ্যপানকারীদের সংখ্যা ২.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বছর পাঁচেক আগে যেখানে মহিলা মদ্যপায়ীদের সংখ্যা ২০১৫-১৬ সালে শতাংশের বিচারে ছিল ১.৩ শতাংশ,২০২০-২০২১ সালে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশ। তবে শুধু মদ্যপান না, তামাক সেবনও উল্লেখযোগ্য হারে ওড়িশায় বেড়েছে মহিলার সংখ্যা। ২০১৫-১৬ সালে মাত্র ১৭.৩ শতাংশ মহিলা তামাকজাত পদার্থ সেবন করতেন, সেই সংখ্যা ২০২০-২১ সালে বেড়ে হয়েছে ২৬ শতাংশ। তামাক সেবনেও শহুরে মহিলাদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে গ্রাম্য মহিলারা। শহরে যেখানে ১৬.৬ শতাংশ মহিলা তামাক সেবন করে, সেখানে গ্রামে তামাক সেবন করে ২৬ শতাংশ মহিলা । উল্লেখ্য, এই সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, অরুণাচল প্রদেশের মানুষ সবথেকে বেশি সুরার প্রতি আসক্ত ও লাক্ষাদ্বীপের মানুষ সবথেকে কম মদ্যপান করে থাকে।