
Parenting tips: প্রত্যেক বাবা-মায়েরই স্বপ্ন থাকে তাঁদের সন্তান হোক বুদ্ধিমান, আত্মবিশ্বাসী ও সাফল্তাঁর পথে আগ্রাসী। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ শুধু পরীক্ষার ভালো নম্বর বা প্রতিযোগিতায় জেতা দিয়ে নয়, শিশুর সামগ্রিক বিকাশের জন্য দরকার প্রখর মস্তিস্ক ও চিন্তাশক্তি। পড়াশোনার বাইরেও তাই সন্তানের জন্য আলাদা করে সময় বার করা প্রয়োজন অভিভাবকদের। এই প্রতিবেদনে কিছু কার্যকর পড়ামির্শ তুলে ধর হলো যাতে ছোটো ঠেজে শিশুর বিকাশের অভিভাবকরা সাহায্য করতে পারেন।
১। একঘেয়েমির নয়
শিশুরা অনেক সময় পড়াশোনার একঘেয়েমিতে বিরক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এই একঘেয়েমি থেকেই নতুন কিছু ভাবার অনুপ্রেরণা তৈরি হয়। এই সময় তাদের হাতে রংতুলি, মাটি, কাগজ, পেন্সিল বা নাচ-গানের মতো সৃজনশীল মাধ্যম তুলে দিলে মস্তিষ্ক নতুনভাবে কাজ করতে শুরু করে। একঘেয়েমিকে ভয় না পেয়ে সেটিকে সৃজনশীলতার খেলা বানিয়ে তুলুন।
২। শুধু উত্তর জানোয়ার নয়, ভাবতেও হবে
শুধু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারা মানেই প্রখর বুদ্ধি নয়। শিশুকে ভাবতে শেখান—‘তুমি কী ভাবো?’, ‘তোমার মতে এর পর কী হতে পারে?’—এমন প্রশ্ন করুন। এতে তারা শেখে বিশ্লেষণ করতে, যুক্তি সাজাতে এবং সমাধান খুঁজতে। এই ধরণের প্রশ্ন তাদের ‘ক্রিটিকাল থিঙ্কিং’-এর শক্তি বাড়ায়।
৩। ভুলের মাধ্যমে শেখা
ভুল করলে অনেক সময়েই শিশুকে তিরস্কার করা হয়, যা আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। বরং বাবা-মা হিসেবে শিশুকে বোঝান—ভুল করা মানে শেখার নতুন সুযোগ। ছোটবেলাতেই যদি তারা শেখে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে, ভবিষ্যতে তারা আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে এবং চিন্তাশক্তিও বিস্তৃত হবে।
৪। নিয়মিত খেলাধুলো ও শরীরচর্চা
শুধু বই মুখস্থ করে নয়, শারীরিক খেলাধুলাও শিশুর বুদ্ধি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলো করলে শিশুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, মনোযোগ ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। মোবাইল স্ক্রিনের বাইরে গিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ শিশুর চিন্তা ও মননশীলতা বাড়ায়।
৫। গল্প শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন
গল্প শুধু বিনোদন নয়, এটি শিশুর কল্পনা, ভাষাজ্ঞান, প্রশ্ন করার দক্ষতা এবং ভাবনাশক্তিকে বিকশিত করে। গল্প শোনার সময় শিশুরা বিভিন্ন চরিত্র, পরিস্থিতি এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবে—যা তাদের মানসিক ও আবেগিক বুদ্ধিকে সমৃদ্ধ করে। বাবা-মায়ের মুখে গল্প শোনা শিশুরা আরও সংবেদনশীল ও চিন্তাশীল হয়ে ওঠে।