
রোজ সকালে একই কাণ্ড! বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে গিয়ে দম ফেলার উপায় থাকেনা মায়েদের। আর যদি ভোরের স্কুলে হয়, তবে তো বুঝি আর চিন্তার শেষে নেই। যদিও বা ঘুম থেকে ওঠানো যায়, ব্রাশ করতে চায় না, এরপর স্কুলের ইউনিফর্ম পড়াতে গিয়েও শান্তি নেই। তাড়াহুড়োয় স্কুলে কখন কী নিতে ভুলে যায় মাথায় সে সবই ঘুরতে থাকে মায়েদের। সময়ের চাপে বিশৃঙ্খলা তৈরী হয় বাড়িতে, প্রভাব পড়ে বাচ্চার রোজকার জীবনে।
তবে কিছু কাজ একটু নিয়মতান্ত্রিকভাবে করতে পারলে অপনার সকালে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর চাপ, তাড়াহুড়ো এইসব ঝামেলা এড়াতে পারবেন।রইলো কিছু টিপস আপনার সকালের কাজকে সহজ করে তোলার জন্য।
১. রাতেই প্রস্তুতি করে রাখুন
সকালে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর সময় তাড়াহুড়ো এড়াতে রাতেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি করে রাখুন। বাচ্চাদের স্কুল ইউনিফর্ম, ব্যাগ, জুতা, জলের বোতল এবং টিফিনবক্স - এসব কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস প্রস্তুত করে তারপর ঘুমাতে যান। এটি করলে সকালে জিনিসপত্র গুছিয়ে দেওয়ার চাপ থাকবে না, আপনি সকালে অনেকটা সময় সাশ্রয় করত পারবেন।
২. আগে থেকে ভেবে রাখুন স্কুলের টিফিনে কী দেবেন
স্কুলে টিফিনে বাচ্চাকে কী দেবেন সেটা আগে থেকেই ভেবে রাখুন। সকালে ভেবে, গুছিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে টিফিন বানাতে অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবে। বরং পারলে আগেরদিন রাতেই টিফিনের জন্য কীj বানাবেন তার সব্জিগুলো কেটে প্রস্তুত করে রাখুন। ময়দা মেখে ফ্রিজে রাখুন, সবজির মশলা তৈরি করে রাখুন রাতেই।
৩. সকালে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিন
সকালের তাড়াহুড়ো কমাতে একটু আগে উঠতে হবে ঘুম থেকে, ফলে পারলে রাতেও ঘুমোতে যেতে হবে একটু আগে। বাচ্চা এবং অভিভাবক দুজনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বিষয়টি। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করান। দরকারে ঘুমানোর জন্য একটি অ্যালার্ম ঘড়ি সেট করুন।
৪. নির্দিষ্ট একটি রুটিন তৈরী করুন বাচ্চার জন্য
বাচ্চাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। তাদের বলুন যে সকালে তাদের প্রতিটি কাজ সেই সময়সূচী অনুসারেই করতে হবে। যেমন, ঘুম থেকে উঠে সাথে সাথে দাঁত ব্রাশ করা, স্নান করা, স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ইত্যাদি। প্রথম কিছুদিন অসুবিধে হবে, তারপর বাচ্চাদের রুটিন সেট হয়ে গেলে, তারা নিজেরাই সময়মতো প্রস্তুত হতে শুরু করবে। আপনার ঝক্কি কমবে।
৫. বাচ্চাকে তার দায়িত্ব ভাগ ভাগ করে দিন
আপনার বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ছোট ছোট দায়িত্ব দিন তাকে। যেমন, নিজের ব্যাগ নিজেই গোছানো, জুতো পালিশ করা, ইউনিফর্ম সঠিকভাবে ভাঁজ করাবা ইইউনিফর্ম পরা, চুল আঁচড়ানো, নিজের খাওয়ার নিজে একা খাওয়া ইত্যাদি। এতে করে, শিশু দায়িত্বশীল হতে শিখবে এবং আপনার চাপ দেওয়ার দরকারই পড়বে না। আর আপনার হাতের কাজও কমবে।