
Mobile Phone Addiction: মোবাইল ফোন দেখে দেখে খাওয়া একটা সমস্যা। এতে শিশু মোবাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। আবার খাওয়ার সময় সে কী খাচ্ছে তার সঙ্গেও তার যোগাযোগ থাকে না। মোবাইল দেখে খাওয়ার সময় শিশুর মনোযোগ দুই দিকে ভাগ হয়ে যায়। সংস্থাগুলি তাদের ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য নিত্যনতুন ফিচার যোগ করে মোবাইলে। এতে এর ভোক্তা দিন দিন বাড়ে। এ জন্য সে শিশু হোক কিংবা বড়- বেশি ব্যবহার করলে আসক্তি তৈরি হবেই। শিশুর জন্ম হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে তার মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। চারপাশের নানা কিছু পর্যবেক্ষণ ও দেখার মধ্য দিয়ে শিশুর মানসিক উন্নতি সাধন হয়। কিন্তু শিশু যখন মোবাইল দেখে খাচ্ছে, তখন সে বাইরের জগৎ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলের প্রতি নির্ভরশীলতা তৈরি হবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর মধ্যে আরও নিত্যনতুন কৌতূহল তৈরি হবে মোবাইল নিয়ে। এই সময় অন্যদের সঙ্গে কথা বলা, গল্প করা, খেলাধুলা, সামাজিক মেলামেশার মতো বিষয়গুলো তার মধ্যে তৈরি না-ও হতে পারে। একসময় দেখা যায়, শিশুরা মোবাইল ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারে না। পড়াশোনা থেকে শুরু করে নানা বিষয় নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ শিশুরা খেলতে খেলতে অনেক কিছু শেখে। যেটা তাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করে। মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকায় সেই দক্ষতাটুকু আর তাদের মধ্যে তৈরি হয় না।
মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর সময় আমরা শুধু খাওয়ার প্রতি আগ্রহই নষ্ট করছি না, বাইরের জগতের সঙ্গে তার যে যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতা তৈরি হত তা থেকেও তাকে বঞ্চিত করছি আমরা। মা-বাবাকে মনে রাখতে হবে, খাওয়া কিন্তু এক ধরনের আনন্দদায়ক ব্যাপার। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও আকার-আকৃতির মধ্যেও শেখার, জানার ও বোঝার নানা কিছু রয়েছে। মোবাইল দেখে খাওয়ার সময় এসব কিছু থেকে বঞ্চিত হয় শিশু।
মোবাইল ফোন দেখে খেলে খাওয়ার প্রতি শিশুর আগ্রহ তৈরি হয় না। খাওয়াকে সে একটা দায়িত্ব হিসেবে দেখে। আবার খাবারের পুষ্টিগত প্রভাবের সঙ্গে আমাদের মনের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কী খাচ্ছি, তা যদি জেনে-বুঝে না খাই তাহলে সেই পুষ্টিগত প্রভাব থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। এ জন্য মোবাইল দিয়ে শিশুকে এখন থেকেই খাবার খাওয়ানোর চর্চা বাদ দিন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।