
শিশুর মানসিক চাপ বোঝার জন্য শারীরিক লক্ষণ গুলি নজর রাখতে হবে, যেমন মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, বা ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া এবং আচরণগত পরিবর্তন, যেমন খিটখিটে মেজাজ, অতিরিক্ত রাগ, বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা লক্ষ্য করুন। এছাড়া, তাদের আচরণ এবং মানসিক চাপের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে তাদের সাথে কথা বলা এবং তারা কী নিয়ে চিন্তিত তা জানার চেষ্টা করা জরুরি।
** শারীরিক লক্ষণ গুলি যেগুলি নজরে রাখবেন যেমন :
* মাথাব্যথা বা শারীরিক ব্যথা: প্রায়ই মাথাব্যথা, পেশীতে টান বা বুকে ব্যথা, অথবা পেটে অস্বস্তি অনুভব করা মানসিক চাপের একটি লক্ষণ হতে পারে।
* ক্লান্তি: অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করা বা কর্মস্পৃহা কমে যাওয়া চাপের কারণে হতে পারে।
* ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া: মানসিক চাপ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, ফলে তারা ঘন ঘন ঠান্ডা, সর্দি বা অন্যান্য সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে।
** শিশুর আচরণগত পরিবর্তন :
* মেজাজ এবং আচরণ: খিটখিটে মেজাজ, রাগ, জেদ, বা ঘন ঘন কান্নাকাটি করা চাপের ইঙ্গিত হতে পারে।
* অসহযোগিতা: তারা আগের চেয়ে বেশি জেদি বা অসহযোগী হয়ে যেতে পারে।
* সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া, বন্ধুদের এড়িয়ে চলা, বা খেলাধুলায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলাও একটি লক্ষণ হতে পারে।
* ঝগড়াটে মেজাজ: সামান্য কারণে অন্যদের ওপর দোষ চাপানো বা ঝগড়া করাও মানসিক চাপের কারণে হতে পারে।
** কীভাবে বুঝবেন ও সাহায্য করবেন শিশুকে:
* যোগাযোগ করুন: তাদের সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলুন এবং তাদের অনুভূতি ও ভয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। তাদের বলুন যে আপনি তাদের পাশে আছেন এবং তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত।
* শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করুন: তাদের বলুন যে মানসিক চাপ শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই অনুভূত হতে পারে এবং চাপ কমাতে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করুন।
* স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন: পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং খেলাধুলার জন্য উৎসাহিত করুন। রাতে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন, কারণ এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
* প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন: যদি আপনি মনে করেন যে চাপ গুরুতর আকার ধারণ করেছে, তাহলে একজন পেশাদার পরামর্শদাতার সাহায্য নেওয়া উচিত।